অজয় মিত্র : সনাতন টিভি
"দীর্ঘ সাধনায় আধ্যাত্মিকতা অর্জন হয়, তা ভাগ্যেরও ব্যাপার, যা আমার কপালেও এসেছে"
নব্বই দশকের হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি মহা আড়ম্বরে সন্ন্যাস গ্রহণের পর বলেছেন, বর্তমানে রূপালী পর্দার জীবনে ফেরার কথা তার কল্পনাতীত একটি বিষয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন,“আধ্যাত্মিকতা এমন একটি বিষয় যা কেবল ভাগ্যের জোরে অর্জন করা যায়। দীর্ঘ সাধনার জেরে সেটা আমি পেয়েছি। তাই আবার সিনেমায় ফেরার কথা ভাবতেই পারি না। আমার পক্ষে আবার কাজটি করা অসম্ভব।"
রীতি মেনেই রুদ্রাক্ষের মালা পরে, কপালে তিলক কেটে এবং গায়ে গেরুয়া বসন জড়িয়ে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে এবারের মহাকুম্ভমেলায় সন্ন্যাস নিয়েছেন মমতা। পিণ্ডদানের রীতিও সম্পন্ন করেছেন তিনি।
সন্ন্যাস নেওয়ার পর মমতা বলেছিলেন, এই কাজটি তিনি করেছেন তার গুরুর আদেশ মেনে।
“মহাদেব মহাকালীর আদেশ ছিল। এটা ছিল আমার গুরুর আদেশ। গৌতম বুদ্ধের মত, জীবনের সবকিছু দেখার পরই আমি এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিই।"
সন্ন্যাস নিয়ে মমতা নাম বদলে হয়েছেন ‘মা মমতা নন্দ গিরি’।
কিন্নর আখড়াতেই হবে মমতার সাধক জীবন যাপন।
৫২ বছর বয়সী সাবেক এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, গত ২৩ বছর ধরে কঠোর তপস্যা করে আসছেন তিনি।
মমতা বলেন, "আধ্যাত্মিক সাধনায় আমার আজকের এই প্রচেষ্টা। কিন্নর আখড়া ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীর অর্ধনারীশ্বর রূপের প্রতীক। এই আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। এখানে কোনো বিধিনিষেধ নেই, সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।"
১৯৯২ সালে রাজ কুমার ও নানা পাটেকরের ‘তিরঙ্গা’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন মমতা। ‘করণ অর্জুন’, ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘সাবছে বড় খিলাড়ি’সহ আরো কিছু হিট সিনেমার নায়িকা ছিলেন মমতা।
এরপর হঠাৎ ২০০০ সালে দেশ ছেড়ে খবরের আড়ালে চলে যান। দীর্ঘ ২৪ বছর পর গেল বছরের ডিসেম্বরে ভারতে ফিরে আসেন তিনি।
No comments:
Post a Comment