“ওঁ গঙ্গে চ যমুনেচৈব গোদাবরী সরস্বতী
নর্মদা সিন্ধু কাবেরী জলেহস্মিন্ সন্নিধিন্ কুরু।।”
তারপর হাত জোড় করে বলবেন...
”ওঁ কুরুক্ষেত্র গয়াগঙ্গা প্রভাস-পুস্করাণি চ। তীর্থান্যেতানি পুণ্যানি প্রাতঃস্নানকালে ভবন্তিহ।।”
কুম্ভমেলার অমৃত স্নানের পুণ্য অর্জনের জন্য, বাড়িতে আপনি আপনার কাছের যেকোনও পবিত্র নদীতে স্নান করে এর পূণ্য অর্জন করতে পারেন।
যদি আপনি অমৃত স্নানের দিন প্রবাহিত জলে গঙ্গাজল মিশিয়ে বাড়িতে স্নান করেন এবং প্রকৃত ভক্তি মনে রাখেন, তাহলেও এই স্নানের পুণ্য অর্জিত হবে।
[ বিষয়গুলো কুম্ভমেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন আর্টিকেল, লেখা ও মতামত পড়ে, সব জায়গা থেকে একই রকমের বিশ্লেষণ প্রাপ্ত, কারো মনগড়া একক বিশ্লেষণ বা মতবাদ নয় ]
অমৃত স্নানের চলমান ও অবশিষ্ট দিনক্ষণ সমূহঃ
২৯ জানুয়ারী, বুধবার - মৌনী অমাবস্যা, অমৃত স্নান
(অমাবস্যাঃ ২৮ জানুয়ারী, সন্ধ্যা ৭.৩৫ থেকে ২৯ জানুয়ারী, সন্ধ্যা ৬.০৫ পর্যন্ত)
৩ ফেব্রুয়ারী, সোমবার - বসন্ত পঞ্চমী, অমৃত স্নান
(পঞ্চমীঃ ২ ফেব্রুয়ারী, সকাল ৯.১৪ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৬.৫২ পর্যন্ত)
১২ ফেব্রুয়ারী, বুধবার - মাঘী পূর্ণিমা, অমৃত স্নান
(পূর্ণিমাঃ ১১ ফেব্রুয়ারী, সন্ধ্যা ৬.৫৫ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারী, সন্ধ্যা ৭.২২ পর্যন্ত)
২৬ ফেব্রুয়ারী, বুধবার - মহাশিবরাত্রি, অমৃত স্নান
(চতুর্দশীঃ ২৬ ফেব্রুয়ারী, বেলা ১১.০৮ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারী সকাল ৮.৫৪ পর্যন্ত)
মূলত শাহী স্নানকে অমৃত স্নান নাম দেওয়ার কারণঃ
পূর্ণকুম্ভ বা মহাকুম্ভের সময় বিশেষ তিথিতে যে স্নান করা হয় তাঁকে শাহী স্নান বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এবার এটির নামকরণ করা হয়েছে অমৃতস্নান।
এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জূনা আখাড়ার পীঠাধীশ্বর আচার্য স্বামী অবধেশানন্দ গিরি জানিয়েছেন, বৃষ রাশিতে বৃহস্পতি উপস্থিত, অন্য দিকে মকর রাশিতে সূর্য ও চন্দ্র একসঙ্গে ভ্রমণ করছিল। ১২ বছর পর মকর রাশিতে সূর্য ও চন্দ্রের সংযোগ অমৃত যোগ তৈরি করে। এ কারণে এই স্নানকে অমৃত স্নান নাম দেওয়া হয়।
মকর সংক্রান্তির সেই স্নান অমৃতের মতো ফল প্রদান করে।
[তথ্যগত ত্রুটি মার্জনীয়, যথাযথ তথ্য উপাত্তে সংশোধনীয় ]
No comments:
Post a Comment