মামলায় সাহায্য করে বিপাকে আইনজীবী! - Voice Of Sanatan
Vedic Video!Subscribe To Get Latest Vedic TipsClick Here

সাম্প্রতিক খবর

Voice Of Sanatan

সত্যের সন্ধানে অনুসন্ধান

Post Top Ad

মামলায় সাহায্য করে বিপাকে আইনজীবী!

 


যৌতুক মামলায় সাহায্য করায় আইনজীবী মৃন্ময় কুন্ডু তপুর প্রতি আকর্ষিত হয় ফারিয়া আক্তার বনানী। প্রতিবেশী হওয়ায় আইনজীবী ক্লাইন্ট সম্পর্কের বাইরেও সুসম্পর্ককে ফারিয়া অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিতে চায় বুঝতে পেরে মৃন্ময় সরে আসতে চাইলে বেপরোয়া ফারিয়ার ব্লাকমেইলের শিকার। অকৃতকার্য হয়ে প্রতারণা এবং সম্মানহানির চেষ্টা। ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মৃন্ময় কুন্ডু তপু বলেন, আমি বিগত ২০১৮ সাল থেকে রেগুলার প্রাক্টিসরত রয়েছি। বিগত ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের দিকে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ এর অধীনে কাঁচপুর এলাকায় ফারিয়া আক্তার বনানী এবং আমি একই এলাকায় বসবাস করতাম। ফারিয়া আক্তার বনানী তার স্বামীর সাথে অনেকদিন যাবৎ চলমান একটি যৌতুক মামলা নিয়ে আমার সাথে আলোচনা করেন। একই এলাকায় বসবাস করার সুবাদে তিনি জানতেন আমি একজন আইনজীবী। একারনে তিনি আমাকে মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তি করার জন্য অনুরোধ জানালে, প্রতিবেশী এবং একজন আইনজীবী হিসাবে আমি তাকে সাহায্য করি। আমি অত্র মামলার আইনজীবীর সাথে যোগায়োগ করে ফারিয়াকে তার স্বামীর সংসারে পাঠিয়ে দেই। এর কিছুদিন পর ফারিয়ার সাথে তার স্বামীর পুনরায় মতবিরোধ হলে পুনরায় সে তার মায়ের সাথে কাঁচপুরে বসবাস করতে থাকে। সেসময় তিনি মাঝে মাঝে তার পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে নিমন্ত্রণ করতেন এবং সেসব ছবি সংগ্রহ করে রাখেন। একটা সময় ফারিয়া আক্তার বিভিন্ন ফোন কলের মাধ্যেমে আমাকে অবেগপ্রবণ কথা বলে গভীর সম্পর্ক তৈরি করে প্রেমের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করলে আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে সর্ম্পক ছিন্ন করি ফারিয়া সেটা মেনে নিতে না পেরে প্রতারণা এবং সম্মানহানির ফাঁদ তৈরি করেন। ফারিয়া ভুয়া কাবিন নামা তৈরি করে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে তোলা বিভিন্ন ছবি আমার শশুরালয়ে প্রেরন করেন যেন আমার সদ্য শুরু।

হওয়া সুখী-দাম্পত্য জীবনে কলহ, বিবাদ সৃষ্টি হয়ে সংসার ভেঙ্গে যায়। কিন্তু আমি নিজের অবস্থানে শক্ত ভুমিকা রাখি এবং ফারিয়াকে সব প্রমাণ নিয়ে আমাদের বাড়িতে সবার সামনে আসতে বলি এতে তিনি পিছিয়ে যান। মৃন্ময় আরো বলেন, আমরা সবাই জানি ইসলাম ধর্ম মতে অন্য ধর্মের কারো সাথে কখনো মুসলিমের বিয়ে হয়না। প্রথমে অন্য ধর্ম থেকে আসা ব্যক্তিকে ধর্মান্তরিত হতে হবে তারপর ইসলাম শরিয়া মতে বিয়ে হবে। ফারিয়া আমার ধর্ম পরিবর্তনের হলফনামা বিহীন ভূয়া নাম ঠিকানা ব্যাবহার করে ২০২২ সালে বিবাহ করেছেন এই মর্মে জাল কাবিন তৈরি করেন। কিন্তু ২০২২ সালে তখনো তার স্বামীর বিরুদ্ধে চলমান। যৌতুকের মামলায় ২০২৩ সালের মার্চ মাসের দিকে বিজ্ঞ আদালতে তার দেওয়া সাক্ষ্য মোতাবেক তার স্বামীর সহিত বিবাহ চলমান রয়েছে। তারপরেও ফারিয়া আক্তার বনানী সহ আরো কিছু অঞ্জাতনামা ৩/৪ জন ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করে সামাজিকভাবে আমার মান-সম্মানহানি করে চলেছেন। এমন হতে থাকলে একজন আইনজীবীর পক্ষে সেবা দান করা খুবই কঠিন হবে। তবে যেহেতু আমি পেশায় একজন বিজ্ঞ আইনজীবী তাই আমি এই প্রতারকগনের বিরুদ্ধে দ্রুতই আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। মৃন্ময়ের প্রতিবেশি ব্যবসায়ী মোঃ আতাউর রহমান বলেন, আমি ও মৃন্ময় কুন্ডু তপু দির্ঘদিন যাবৎ কাঁচপুর এলাকায় একই বাসায় পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করি। তিনি আমাদের এলাকায় উকিল দাদা হিসাবে পরিচিত এবং জনপ্রিয় বটে। তিনি দির্ঘ্য ১০ বছরের বেশি বসবাস করছেন। এবং ছাত্র জীবন পার করে পেশা জীবনে পর্দার্পন করেছেন ২০১৮ সালে। তিনি আমাদের এলাকায় খুবই সম্মানের সাথে বসবাস করছেন তার বাবা ও বোনকে নিয়ে। তিনি এলাকার সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন এবং এলাকার করনা কালিন সম্মুখ যোদ্ধা ছিলেন। তার সদ্য বিবাহের পর থেকে তাকে ফারিয়া নামের একজন মহিলা বিভিন্ন ভাবে ব্লাকমেইল করছে যাহা আমি বহুবার প্রতিবাদ করেছি। আমার জানামতে তপু উকিল এই ফারিয়ার স্বামীর সাথে ২টি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন ফারিয়ার অনুরোধে। তার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ


সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সুব্রত দাশ বলেন, মৃন্ময় কুন্ডু আমার সহকর্মী। আমরা দির্ঘদিন যাবৎ এক সাথে এই পেশায় রয়েছি। আমার জানামতে ফারিয়া আক্তার বনানী মৃন্ময় কুন্ডু তপুর ক্লাইন্ট। তপু ফারিয়ার ২ টি মামলা পরিচালনা করেছেন। তার সরলতার সুযোগ নিয়ে ফারিয়া প্রতারনা ও ব্লাকমেইল করছেন। যদি মৃন্ময় কুন্ডু তপু এই বিষয় নিয়ে কোনরূপ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করে তাহলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে সকল ধরনের সাহায্য করবো। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোটের আরেকজন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃন্ময় কুন্ডু তপু আমার সহকর্মী এবং বন্ধুবর। আমরা দির্ঘদিন যাবৎ এক সাথে এই পেশায় রয়েছি। আমার জানামতে ফারিয়া আক্তার বনানী মৃন্ময় কুন্ডু তপুর ক্লাইন্ট। তপু ফারিয়ার ২ টি মামলা পরিচালনা করেছেন। তপুর দুর্বলতা হলো তার সরলতা। এত সরল বলেই ফারিয়া প্রতারনা ও ব্লাক মেইল করছেন। কোর্টে আমরা এরকম নানা বহরুপি দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ফারিয়া প্রথম খ্রিষ্টান স্বামীর সাথে সংসার করতে না পেরে ডিভোর্স দিয়ে আরেকটা মুসলিম ছেলেকে বিয়ে


করে। তার সাথেও মিলতে না পেরে এখন সিধেসাধা মৃন্ময়ের পেছনে পড়েছে যেন এরকম করে কিছু টাকা হাতাতে পারে। কিছু মেয়েরা বিয়েকে একটা ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। জাল কাবিননামা তৈরি করে পারিবারিক হ্যারেজমেন্ট করার জন্য মৃন্ময়কে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এই বিষয় নিয়ে যদি সে আইনগত পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে সব রকম সাহায্য করবো। এরকম মেয়েদের কঠিন শাস্তি পাওয়া উচিত।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

আপনার বিজ্ঞাপন দিন।