এবছর রথযাত্রার অনুমতি দিয়ে ভগবান জগন্নাথ আমাদের ক্ষমা করবেন না৷’ বৃহস্পতিবার রথযাত্রা নিয়ে এক মামলা পরিপ্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে৷ আর তাই করোনা আবহে সকলের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এবছর রথযাত্রার অনুমতি দিল না দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷
আগামী ২৩ জুন রথ উৎসব৷ ওই দিন বোন সুভদ্রা ও দাদা বলরামকে নিয়ে জগন্নাথদেব রথে চেপে পাড়ি দেন মাসির বাড়ি৷ পরম্পরা ও ঐতিহ্য মেনে ২৮৪ বছর ধরে চলে এসেছে এই রীতি৷ কিন্তু ২০২০ সালে করোনা এসে সব তালগোল পাকিয়ে দেয়৷ একে একে সব ধর্মীয় উৎসব বাতিল হতে থাকে৷ পুরীর রথযাত্রাকে নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়৷ তারপর বালাসোর জেলার ১২টি মন্দির, ময়ূরভঞ্জের ৬টি, সম্বলপুরের ৫টি মন্দির কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়ে দেয়, তারা মন্দিরের বাইরে রথযাত্রা উৎসব পালন করবেন না৷
তবে লোক সমাগম কমাতে এর আগেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ হাতি বা মেশিনে টানা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল ওডিশা হাইকোর্ট। কিন্তু রথযাত্রা পুরোপুরি বন্ধের দাবিতে ওড়িশা বিকাশ পরিষদ নামে এক এনজিও সুপ্রিম কোর্টের কাছে পিটিশন দায়ের করে৷ পিটিশনে তারা জানায়, রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়৷ এবছর এই ধর্মীয় উৎসব পালনের অনুমতি দিলে তা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে৷
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বেঞ্চের কাছে অনুরোধ করেন, তারা যেন পুরোপুরি রথযাত্রা বন্ধের নির্দেশ না দেন৷ কিছুক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে মানুষের সমাগম ছাড়া অন্তত ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের অনুমতি দেওয়া হোক৷ কিন্তু বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের অনুমতি দিলেই জমায়েত হবে৷ তাই জনস্বার্থে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাজ্যকে রথযাত্রা এবং রথ উৎসব সংক্রান্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে৷ এবছর কোনও রথযাত্রা পালন করা যাবে না৷ ভগবান জগন্নাথ এজন্য আমাদের ক্ষমা করে দেবেন৷
No comments:
Post a Comment