মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (রাবি) দুই নারী শিক্ষার্থীর করা যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাশ বাংলাদেশের পাদদেশে মুখে কালো কাপড় বেঁধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচার দাবি করে। এর আগে ২৫ জুন আইইআরের চতুর্থ বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্যক্তের লিখিত অভিযোগ করেন। পরে দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইইআর পরিচালকের কাছে একই অভিযোগ করেন।
এ
ঘটনায় পরদিন বিকেলে ইনস্টিটিউটের এক জরুরি সভায় অধ্যাপক বিষ্ণুকে দ্বিতীয় ও
চতুর্থ বর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগের
সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে ২৮ জুন
অভিযোগপত্র প্রত্যাহার করার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে উল্লেখ
করে নিরাপত্তা চেয়ে নগরীর মতিহার থানায় পৃথক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন
অভিযোগকারী দুই শিক্ষার্থী (জিডি নংÑ ১১০৮ ও ১১০৯)। ৩০ জুন ইনস্টিটিউটের
শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে অধ্যাপক বিষ্ণুর বিচার দাবি করেন। সবশেষ ১
জুলাই তার অব্যাহতির আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে
ইনস্টিটিউটের সকল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিষ্ণু কুমার অধিকারীকে অব্যাহতি
দেওয়া হয়।
আরেক শিক্ষার্থী রিজওয়ানুল আলম বলেন, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে সেই শিক্ষকের যথাপোযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করুক। তদন্ত কমিটি করুক। এছাড়া ক্যাম্পাসে মেয়েদের নিরাপত্তার ব্যাপারটিও বিবেচনায় আনুক। তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ইনস্টিটিউটের পরিচালক আবুল হোসেন চৌধুরী বলেন, গত শনিবার আমরা একটি মিটিং করেছি। সেখানে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে কীভাবে এগোতে পারি, সে বিষয়ে আলাপ হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো যোগাযোগ করেনি। তবে আজ (সোমবার) এখন পর্যন্ত যা যা হয়েছে তা প্রশাসনকে জানানো হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বলেন, “ইনস্টিটিউট একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে। সেটা তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দিবে। পরে তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। ওই প্রতিবেদন নিয়ে যদি প্রশ্ন উঠে তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হয়তো নতুন তদন্ত কমিটি করবে।
No comments:
Post a Comment