পাগলায় পাগলনাথ মন্দির উচ্ছেদ করল সেনাবাহিনী - Voice Of Sanatan
Vedic Video!Subscribe To Get Latest Vedic TipsClick Here

সাম্প্রতিক খবর

Voice Of Sanatan

সত্যের সন্ধানে অনুসন্ধান

Post Top Ad

পাগলায় পাগলনাথ মন্দির উচ্ছেদ করল সেনাবাহিনী



স্টাফ রিপোর্টার : ফতুল্লার পাগলা এলাকায় খাল দখল করে গড়ে উঠা পাগলনাথ মন্দির উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ডিএনডি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে আজ বৃস্পতিবার সকালে শতবর্ষী এই মন্দিরটি উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনডি প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর মাহাতাব। সময় নারায়ণগঞ্জ’কে তিনি জানান, ‘এই স্থানটি ছিলো কংশ নদীর মুখ। দীর্ঘ বছর আগে নদীর খালের এই স্থানটি দখল করে সেখানে অবৈধ ভাবে এই মন্দিরটি গড়ে তোলা হয়।’
তিনি আরো জানান, ‘আমরা ডিএনডি প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়ার পর থেকেই তাদেরকে এই মন্দিরটি এখান থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু তারা নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা প্রকল্পের কাজের স্বার্থে তা উচ্ছেদ করেছি। শুধু এই মন্দিরই নয়, ডিএনডির অধিনে থাকা খাল এবং সরকারি জায়গা ভরাট করে গড়ে উঠা যেকোন স্থাপনাই ইতিমধ্যে আমরা উচ্ছেদ করেছি। আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।’
সূত্র জানায়, যুগযুগ ধরে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ সেখান থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। বর্তমানে এই মন্দিরকে ঘিরে দুটি পক্ষ তৈরী হয়েছে। একটি পাগলনাথ মন্দিরের সেবায়েত শিবু দাস মহন্ত গ্রুপ, অপরটি মন্দিরের সভাপতি শিবু দাস গ্রুপ। তারা উভয়ে মন্দিরের অর্থ আত্মসাতে জড়িত বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তাদের দ্ব›দ্ব নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে।

এদিকে যুগ যুগ ধরে দূর্ভোগের পর বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এবং সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় ইতি মধ্যেই বদলে যাচ্ছে ডিএনডি এলাকার চিত্র। দখল হয়ে যাওয়া প্রায় ৯৪ কিলোমিটার খাল উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। পানি নিষ্কাশনে পুরোদমে চলছে পাম্প স্টেশন বসানোর কাজও।
ইতে মধ্যেই এই প্রকল্পের ফল পেতে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট বাসিন্দারা। চলতি বছরে কয়েকবার টানা বৃষ্টি হলেও আগের তুলনায় এখন জলাবদ্ধতা কম। যদিও এখনও শেষ হয়নি ডিএনডি প্রকল্পের কাজ। তবে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় অতিশিঘ্রই জলাবদ্ধাতার দূর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে ডিএনডি বাসি। এমনটাই বিশ্বাস করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, ডিএনডি’র বাসির এই দুর্ভোগ শুরু হয় ১৯৬৮ সালে। তৎকালিন সময়ে এ অঞ্চলে (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা) সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাঁধ নির্মিত হয়। যা পরিচিত ডিএনডি বাঁধ নামে। গেল কয়েক দশকে খালের বিভিন্ন স্থান দখল করে স্ব-স্ব স্থানে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন শতশত অবৈধ স্থাপনা। খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বছরের পর বছর ধরে প্রায় ডুবন্ত ছিলো ডিএনডি বাঁধ এলাকা।
এই ডিএনডি বাঁধ এলাকার ৯৪ কিলোমিটার খালের আদি রূপ ফিরিয়ে দিতে ৫৫৮ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২০১৭ এর শেষের দিকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে, পাম্প স্টেশন-প্লান্ট, খাল উদ্ধার, ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ অনেক কিছু। কাজের সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০২০ সাল।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিমরাইল ছাড়াও ফতুল্লা ও শ্যামপুরে চলছে আরও ৩টি পাম্পিং প্লান্ট নির্মাণের কাজ। এর সিংহভাগ কাজই প্রায় সমাপ্তির পথে।

সময় নারায়নগঞ্জ.কম এ প্রকাশিত

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

আপনার বিজ্ঞাপন দিন।