বগুড়া প্রতিনিধি ঃ গত দু দিন হলো ঘনো কুয়াশার কারনে সূর্যের দেখা মেলেনি পুরো বগুড়ায় ৷সারা দেশের ন্যায় বগুড়াতেও ঘনো কুয়াশায় ঢেকে ছিল সে কারনে জনজিবনও প্রায় স্থবির হয়ে পরে৷বগুড়া বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায় বস্তির ও ছিন্নমুল পথ শিশুরা ঘনো কুয়াশা ও শীতের কারনে তারা আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতেও দেখা গেছে ৷আর ঘনো কুয়াশা সেই সাথে ঢান্ডা বাতাসের কারনে শীতের তিব্রতাও বেড়ে গেছে ৷
অন্যদিকে সন্ধে নামলে কুয়াশার কারনে মহা সড়ক সহ বিভিন্ন সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ৷এ কারনে সামনের গাড়িকে ঠিকমত দেখা না মেলায় সড়কেও ঘটছে দূর্ঘটনা ৷ অপরদিকে ট্রেনগুলিও চলছে হেড লাইট জ্বালিয়ে পাশাপাশী প্রতিটি ট্রেন চলাচল করছে একটু বিলম্ভে ৷সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘনো কুয়াশা আর সে কারনে ধুঁয়ায় অন্ধকার নেমে আসে ৷এমনকি রাত্রি যখন দশ/এগারটা বাঁজে তখন সড়কের দশ/পনের হাত দুরের অপর দিক থেকে আসা গাড়িগুলিকে দেখা পর্যন্ত যায় না ৷
অপরদিকে ওই কারনে জেলার কৃষকের স্বপ্নও ম্লান হতে বসেছে ৷একদিকে যেমন সামনে ইরি বোরো মৌসুমের চাঁড়া তৈরীর সময় অন্যদিকে সরিষা সহ বেশ কিছু সফল ফলানোর উপযুক্ত সময় ৷সেটি পর্যন্ত এই ঘনো কুয়াশার কারনে বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে ৷এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষক শ্রী সুশান্ত কর্মকার,মোঃ তবিবর রহমান,সোনাতলার ডাঃ বিপুল সাহা,ধুনট উপজেলার শ্রী মনোরঞ্জন সরকার কুরান প্রতিনিধিকে বলেন, ঘনো কুয়াশার কারনে বিজতলায় ইরি ধাঁনের বিছন পর্যন্ত ফেলতে পারছি না ৷
তিনারা আরো বলেন শরিষা সহ কিছু চৈতালী ফসলের মৌসুম এখন কিন্তু সেগুলি কিছুই করতেও পারছি না ৷আবহাওয়াবিদরা বলছেন হয়ত আরো দু—একদিন এ রকম ঘনো কুয়াশা থাকতে পারে ৷তবে কুয়াশা কেটে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে
No comments:
Post a Comment