চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরবিদায় জানানো হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা দানবীর প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহকে। কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের এই প্রয়াত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সকালে চট্টগ্রাম থেকে তাঁর মরদেহ নেয়া হয় রাউজানের কুন্ডেশ্বরীতে।
সেখানে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুনায়েদ কবীরের নেতৃত্বে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় অসংখ্য মানুষ।
শ্রদ্ধা জানানোর পর কুন্ডেশ্বরীর পারিবারিক শ্মশানে দাহ করা হয় প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহের মরদেহ। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রফুল্ল রঞ্জন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। নিয়মিত তাঁকে ডায়ালাইসিস করা হতো। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৮ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন প্রফুল্ল। পরে তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে আয়ূর্বেদিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয় গড়ে তুলেছিলেন প্রফুল্ল রঞ্জনের বাবা নূতন চন্দ্র সিংহ। ১৯৬০ সালে নারী শিক্ষার প্রসারে দু’টি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছিলেন তিনি। একাত্তরে নূতন চন্দ্র সিংহকে গুলি করে হত্যা করে রাজাকার ও পাকসেনারা। যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার অন্যতম স্বাক্ষী ছিলেন প্রফুল্ল রঞ্জন।
বাবার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনাসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন প্রফুল্ল।
No comments:
Post a Comment