শুরু হয়ে গিয়েছে রাম মন্দির নির্মাণ। এই করোনা আবহেও ভূমি পুজো করে মন্দির স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আবেদন করে তাঁদের প্রস্তাবিত মডেল দিয়ে রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু করতে। সেই আবেদন মতোই রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট কাজ শুরু করে।
উল্লেখ্য ১৯৯২ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই মডেল তৈরি করে। সেই মডেল সামনে রেখে তৈরি হোক রাম মন্দির, দাবি করেছে পরিষদ। সেই প্রেক্ষিতে পরিষদের সভাপতি অলোক কুমার জানান রাম মন্দির নিয়ে উত্তাল সময়ে তাঁদের তৈরি মডেল খুব প্রশংসিত হয়েছিল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম জন্মভূমি মডেল তৈরি করেন প্রখ্যাত স্থপতিকার চন্দ্রকান্ত সোমপুরা।
তৎকালীন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রধান অশোক সিংহল এই কাজ করার দায়িত্ব তাঁকে দিয়েছিলেন। টাইমস নাও জানাচ্ছে, এই মন্দির নির্মাণে নাগারা স্থাপত্যকলা ব্যবহার করা হবে। কোনও সিমেন্ট বা স্টিলের ব্যবহার নয়, এই মন্দির গঠনে ব্যবহৃত হবে পাথরের চাঁই। ভারতের উত্তর ও পশ্চিম প্রান্তে এই ধরণের স্থাপত্য কার্য বেশ জনপ্রিয়। ইতিমধ্যেই মন্দির গঠনের জন্য ৪০ শতাংশ পাথরের কাজ হয়ে গিয়েছে।
আগামী ২৪ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সোমপুরা। এদিকে ২৭শে মে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মহন্ত নৃত্যগোপাল দাসের হাত ধরে পুজোর পর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। রাম লাল্লার মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করার পরেই নির্মাণ কাজ শুরু করার ঘোষণা করেন তিনি। রাম জন্মভূমিতে পুজো শুরু হয়।
২৭ বছর পর ২৫শে মার্চ রামের মূর্তি অস্থায়ী মন্দির থেকে সরিয়ে একটি পালকি করে নিয়ে যাওয়া হয় মানস ভবনে। এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অস্থায়ী মন্দিরটি বুলেটপ্রুফ ও ফাইবার দিয়ে তৈরি।
প্রায় শতাব্দীপ্রাচীন বিতর্ক মিটিয়ে ২০১৯ সালের ৯ই নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানায় অযোধ্যার বিতর্কিত জমি পাচ্ছেন হিন্দুরাই, তৈরি হবে রাম মন্দির।বিতর্কিত জমি বাদে অযোধ্যায় ৫ একর জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। সেখানে তৈরি হতে পারে মসজিদ। এছাড়াও শীর্ষ আদালত জানিয়ে ছিল ৩-৪ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশেষ স্কিম তৈরি করতে হবে। যাতে বিতর্কিত জমি মন্দির পক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় ও অন্য পাঁচ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়া হয়।
suce....kolkata24x7.com
No comments:
Post a Comment