লেখাপড়া শেখানোর লোভ দেখিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঢাকা, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পিতা–মাতার অজান্তে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার সংবাদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। অন্যদিকে জুম্ম নারীদেরকে ফুসলিয়ে বিয়ে করা এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসছে । বিবাহিত জুম্ম নারীকে শারীরিক নির্যাতন করা এবং নানা অজুহাতে ডিভোর্স দিয়ে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করে তাড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি বিবাহিত জুম্ম নারীর সাথে যৌন জীবনের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেও দেখা গেছে।
বলাবাহুল্য, স্মরণাতীত কাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি অমুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখো, চাক প্রভূতি আদিবাসী জাতি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করে আসছে, যারা বৌদ্ধ, হিন্দু ও খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী এবং সম্মিলিতভাবে নিজেদেরকে ‘জুম্ম’ (পাহাড়ি) নামে পরিচয় দেয়। ১৯৪৭ সালে ভারত–পাকিস্তান বিভক্তির সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী জাতিসমূহের জনসংখ্যা ছিল ৯৭.৫%। আর ছিল মুসলিম ১.৫% ও হিন্দু বাঙালি ১.০%। অমুসলিম অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামকে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তির পর পরই তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করার কার্যক্রম হাতে নেয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো জুম্ম জনগণের রক্ষাকবচ হিসেবে বিদ্যমান ব্রিটিশ প্রবর্তিত আইন, বিধি ও বিধিব্যবস্থা বাতিল করা; উন্নয়ন কার্যক্রমের নামে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বসতি প্রদান করা।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও পাকিস্তানী পরিকল্পনা অব্যাহত রাখে। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সরকারি অর্থায়নে সমতল অঞ্চলের চার লক্ষাধিক মুসলমান পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ বসতি প্রদান করা হয়। সেই সাথে চলতে থাকে নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে কিংবা হুমকি–ধামকি দিয়ে জুম্মদেরকে ইসলামধর্মে ধর্মান্তরিতকরণের কার্যক্রম। ফলে যেখানে ১৯৪৭ সালে জুম্ম ও মুসলিমদের অনুপাত ছিল ৯৮ জন জুম্ম ১ জন মুসলিম, আজ ৭৩ বছর পর এই অনুপাত উল্টো হতে শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৫৫ জন মুসলিম ৪৫ জন জুম্ম। আর আগামী ২০৪৭ সালের ঠিক উল্টো চিত্র অর্থাৎ ৯৮ জন মুসলিম ১ জন জুম্ম, এমনই অনুপাত দাঁড়াবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নামক অঞ্চলে জনসংখ্যার। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দীর্ঘ ২৩ বছরেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় মৌলবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক জুম্মদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরকরণের কাজ জোরদার করা হয়েছে। নিম্নে এর #কিছু_উদাহরণ_তুলে_ধরা_হলো– #পড়ালেখার_নামে_গোপনে_মাদ্রাসায়_ভর্তি শিক্ষার সুযোগ দানের ফাঁদ পেতে মাদ্রাসায় ভর্তি ও ইসলামে ধর্মান্তরিতকরণ।
দরিদ্র ও নিরক্ষর আদিবাসী পরিবারের শিশুরা এরূপ ধর্মান্তরকরণের প্রধান শিকার। শিক্ষাকে ব্যবহার করে ইসলামীকরণ চলছে অমুসলিম আদিবাসী সমাজে। মৌলবাদীরা আদিবাসী শিশুদের কখনোই ভালো স্কুলে নিয়ে যায় না, বরং ইসলামে ধর্মান্তরিত করার অভিসন্ধি নিয়ে তাদেরকে ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। গত ১ জানুয়ারি ২০১৭, ঢাকায় এক মাদ্রাসায় পাচার হওয়ার সময়, পুলিশ বান্দরবান শহরের ‘অতিথি আবাসিক হোটেল’ থেকে চার আদিবাসী শিশুকে উদ্ধার করে। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তিরিত আবু বক্কর সিদ্দিক (৪৫), যার পূর্ব নাম মংশৈ প্রু চৌধুরী ও মোহাম্মদ হাসান (২৫) এই পাচারকাজের অন্যতম মূল হোতা বলে জানা যায়। তাদেরকে উক্ত চারজন শিশুসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে তাদের সঙ্গী সুমন খেয়াং গ্রেফতার থেকে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারের পর বান্দরবান সদর থানায় একটি মানবপাচার মামলা দায়ের করা হয়। উদ্ধারকৃত শিশুরা, রোয়াংছড়ির তারাছা ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ার উহ্লা অং মারমার মেয়ে মাসিং সই মারমা (১২) ও পাচিনু মারমার ছেলে থোয়াইলা মারমা (৮); বেতছড়ামুখ পাড়ার সাউপ্রু মারমার মেয়ে নুছিং উ মারমা (১২) এবং বৈদ্য পাড়ার অং থোয়াই চিং মারমার মেয়ে মেচিং প্রু মারমা (১৩)। শিশুদের পিতা মাতাকে ঢাকায় বিনা খরচে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করার প্রলোভন দেখানো হয়। কাপেং ফাউন্ডেশন ২০১৭ সালের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে আদিবাসী শিশুদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরে। তার পূর্ববর্তী ৭ বছরে অন্তত ৭০ জন আদিবাসী শিশু, অধিকাংশই খ্রিস্ট্রীয় ও হিন্দু ধর্মের সাথে যুক্ত, তাদেরকে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার করা হয়।
এসব শিশুদের অধিকাংশই বান্দরবান জেলা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ২ জানুয়ারি ২০১৩, পুলিশ ঢাকার সবুজবাগ থানাধীন আবুযোর গিফারি মসজিদ কমপ্লেক্স নামের এক মাদ্রাসা থেকে ১৬ আদিবাসী শিশুকে উদ্ধার করে। শিশুদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়। ত্রিপুরা ও চাকমা জাতিভুক্ত এসব শিশুদের পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতারণা করে নিয়ে যাওয়া হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ আদিবাসী ত্রিপুরা শিশুদের আরেকটি গ্রুপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। শিশুদেরকে বান্দরবানের চিম্বুক এলাকা থেকে পিরোজপুর জেলার একটি মাদ্রাসায় নেয়া হচ্ছিল। ২০১২ সালের জুলাই মাসেও গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে ১১ জন আদিবাসী ত্রিপুরা শিশুকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে গাজীপুর জেলার মিয়া পাড়ার দারুল হুদা ইসলামী মাদ্রাসা থেকে ৮ শিশুকে এবং ঢাকার মোহাম্মদপুরের এক মাদ্রাসা থেকে ১ নারী শিশু ও গুলশানের দারুল হুদা মাদ্রাসা থেকে ২ শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে পুলিশ কর্তৃক কেবল বান্দরবান শহরের এক মোটেল ‘অতিথি বোর্ডিং’ থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ৩৩ শিশুকে উদ্ধার করে। বান্দরবানের থানচি উপজেলা থেকে এই শিশুদের সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ধানমন্ডি আদর্শ মদিনা স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হবে এই প্রতিশ্রুতি ও প্রলোভন দেখিয়ে। এসময় পুলিশ গর্ডন ত্রিপুরা ওরফে রুবেল, ঢাকার দারুল ইহসান মাদ্রাসার ছাত্র আবু হোরাইরা ও শ্যামলীর বাসিন্দা আবদুল গণি নামের ৩ পাচারকারীকে গ্রেফতার করে।
#জায়গা_জমি_দখল অন্যদিকে লাদেন গ্রুপ নামে খ্যাত মুহাম্মদিয়া জামিয়া শরিফ লামা উপজেলায় দখল করেছে ৭ হাজার একর পাহাড় ভূমি। এদের গ্রুপের কাজ হলো আদিবাসীদের বসতভিটা ও জুমভূমি জবরদখল করা, প্রলোভন দেখিয়ে আদিবাসীদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা এবং আদিবাসী শিশু–কিশোরদের কৌশলে ঢাকায় নেয়া। এই গ্রুপ ফাসিয়াখালীর মৌজার হেডম্যান মংথুই প্রু মারমার ২৫ একর জমিসহ ফাসিয়াখালী ও সাঙ্গু মৌজার আদিবাসী ম্রো, ত্রিপুরা ও মারমাদের শত শত একর জমি অবাধে দখল করে নিয়েছে। লাদেন গ্রুপের বিরুদ্ধে জায়গা–জমি জবরদখল করে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক বাগান করা এবং এসব অঞ্চলে জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
#কোয়ান্টামের_প্রতারণা অপরদিকে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ‘কোয়ান্টাম ফাউন্টেশন’ নামে জাতীয় পর্যায়ের একটি এনজিও কর্তৃক ২০০১ সাল প্রতিষ্ঠিত কোয়ান্টাম স্কুল ও কলেজে নানা প্রলোভন দেখিয়ে জুম্ম ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করা হয়। কোয়ান্টাম আবাসিক স্কুলে জুম্ম ছাত্রছাত্রীদের মাতৃভাষায় কথা বলতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়ে থাকে। ফলে মাতৃভাষায় কথা বলার সুযোগের অভাবের কারণে জুম্ম শিশুরা মাতৃভাষা ভুলে যেতে থাকে। বিশেষ করে কোয়ান্টামে ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুরক্ত ও সেই ধর্মীয় সংস্কৃতিতে জুম্ম ছাত্রছাত্রীদের গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে। উক্ত কলেজে জুম্ম ছাত্রছাত্রীদেরকে সরাসরি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিতকরণে উদ্বুদ্ধ না হলেও ইসলামী আদব–কায়দা ও জীবনাচারে গড়ে তোলা হয়। তাদেরকে শ্রেণিকক্ষে ‘সালামালিকুম’, ‘ওলাইকুম সালাম’ ইত্যাদি ইসলামী সম্বোধন ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়। নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয় তা শেখানো হয়।
#স্বাস্থ্যসেবা_লোভ ঈদগাঁও মডেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াবেটিস কেয়ার সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা: মো: ইউসুফ আলী মানবকল্যাণ কাজ তথা অসহায়, গরীব, দু:স্থ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাসহ মানব সেবামূলক কাজকর্মের আড়ালে প্রতারণামূলকভাবে স্থানীয় গরিব পাহাড়িদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। তেমনি তার হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা উপজাতীয় মুসলিমদের সাথে পরিচয় ঘটে। তাদের সমস্যার কথা জেনে এ পরিবারগুলোর সন্তানদের লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করে। বর্তমানে বিভিন্ন মাদ্রাসায় ১৯ জনের মত জুম্ম ছেলেমেয়ে মুসলিম রয়েছে। অনেকে ঈদগাঁওর বিভিন্ন মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া শেষ করছে। #আর্থিক_লোভ_প্রশাসনিক_দাপট বান্দরবান জেলার আলিকদম উপজেলা থানচি সড়ক ১১ কিমি এলাকায় ১ জানুয়ারি ২০১৮ সালে ১৪টি অসহায় ও গরিব পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার নাম করে তাদের মাঝে সুদ মুক্ত ঋণ, তাদের মাঝে গৃহপালিত গরু–ছাগল দেওয়া হবে, তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দেওয়া সহ নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে দরিদ্র পাহাড়িদের মন ভুলিয়ে সুযোগ বুঝে গোপনে উপজাতীয় মুসলিম আর্দশ সংঘ ও দাওয়াতে তাবলীগের মাধ্যমে তাদেরকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে।
কয়েকজন উপজাতীয় মুসলিমদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে আর্থিক সহযোগিতা ও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে; গরু–ছাগল, নগদ অর্থ, গৃহ নির্মাণ করে দেওয়াসহ সুদ ঋণ দেওয়া হবে ইত্যাদি প্রলোভন দেখানো হয়। খ্রীস্টান ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া আবু বক্কর ছিদ্দিক (যার পূর্বের নাম অতিরম ত্রিপুরা) বলেন, কোর্ট গিয়ে এফিডেভিট মূলে ধর্ম ও নাম পরির্বতন করে মুসলিম হতে হয়। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে তার ছেলে সাইফুল ইসলাম (পূর্বের নাম রাফেল ত্রিপুরা) ডা: ইউসূফ আলী হাসপাতালে চাকরিরত আছে। এদিকে লামা উপজেলার গয়ালমারা গ্রামে বসাবসরত ত্রিপুরাদের উপজাতীয় মুসলিম কল্যাণ সংস্থা ও উপজাতীয় আর্দশ সংঘ বাংলাদেশ, তাবলিগ ও জামায়াত–এর আলেম হাফেজ মো: জহিরুল ইসলাম, হাফেজ মো: কামাল, মো: মোহাম্মদুল্লাহ, হাফেজ মো: সালামাতুল্লাহ, মৌলভী হেলাল উদ্দিন ত্রিপুরা এবং সাইফুল ইসলাম ত্রিপুরা সভাপতি উপজাতীয় নও মুসলিম আর্দশ সংঘ তাদের নেতৃত্বে গয়ালমারা ৪৫টি পরিবারকে আর্থিক ও নানা ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে আলিকদমের জেসমিন আক্তার পূর্বের নাম ঝর্ণা ত্রিপুরা, রোয়াংছড়ির সাদেকুল ইসলাম প, গয়ালমারায় নুরুল ইসলাম পূর্বের নাম প্রশান্ত ত্রিপুরা সবাই ইসলামী ধর্মান্তরকরণের শিকার হয়েছেন। আলিকদম–থানচি ১১ কিলো এলাকাসহ মোট ৪৫ পরিবার ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। সরেজমিন তদন্তে জানা যায় যে, বান্দরবান পৌর এলাকার বাস ষ্টেশনে ১৯৯৯ সালের দিকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত ত্রিপুরা ও খিয়াং রয়েছে ৩০–এর অধিক পরিবার এবং টাংকি পাড়ায় ২০০১ সাল থেকে বসবাস রয়েছে ত্রিপুরা মুসলিমদের ১৫–এর অধিক পরিবার। লামা উপজেলার লাইনঝিড়িতে ১৯৯৫ সাল থেকে ত্রিপুরা মুসলিমদের ১৭–এর অধিক পরিবারের অধিক। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোঃ রাসেল ত্রিপুরা (পূর্বের নাম রামন্দ্র ত্রিপুরা)-এর স্ত্রী সারেবান তাহুরা ত্রিপুরা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল। আলিকদম–থানচি সড়কের ক্রাউডং (ডিম পাহাড়) এলাকায় (রূপসী ইউনিয়ন) ২০০০ সাল থেকে ত্রিপুরা মুসলিমদের রয়েছে ১৬ পরিবারের মতো। ১৯৯২ সালে দীঘিনালা রিজিয়ন কমান্ডার কর্ণেল মাহবুব হাসান আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে আটজন চাকমাকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন।
ধর্মান্তরিতরা হল– ১. বলিরঞ্জন চাকমা- নাম বদলে মোঃ সাজেদ আলী শেখ; ২.স্বর্ণা চাকমা-ফাতেমা খাতুন; ৩. রসিক গুরি চাকমা- মোসাম্মত রওশন আরা বেগম; ৪. মিলাবো চাকমা- মোসাম্মত তসলিলা খাতুন; ৫. দিঘী কুমার চাকমা- মোঃ আবদুল্লাহ; ৬. সুখী চাকমা- মোসাঃ সখিনা খাতুন এবং ৭. শংকর চাকমা- আবদুল শহীদ মোঃ সাইফুল ইসলাম। তাদের ইসলামে ধর্মে দীক্ষা দেন মৌলবী হাফেজ মোহাম্মদ আবুল বাশার। তাদের শপথনামা পাঠ করান দীঘিনালা থানার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রানা। যাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয় তারা সকলে দীঘিনালার বানছড়া গ্রামের বাসিন্দা। (সূত্রঃ স্নেহ কুমার চাকমা, জীবনালেখ্য, পৃষ্ঠা# ২০৮)।
অস্তিত্ব চাকমা তথ্য সূত্র Hill Voice
অস্তিত্ব চাকমা তথ্য সূত্র Hill Voice
No comments:
Post a Comment