গোপালগঞ্জ সদর থানায় গত ২৭ জুন সুবর্ণ বিশ্বাসের বাবা কমলেশ বিশ্বাস একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নং -১২২৭ তাং -২৭-৬-১৯ইং)। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ২৬ জুন সকালে তার মেয়ে শ্বশুর বাড়ির গ্রাম চরগোবরা থেকে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলে বেরিয়েছে আর ফিরে আসেনি। চর গোবরা গোপালগঞ্জ জেলা শহরেরই পশ্চিম প্রান্তের একটি গ্রাম। তার মেয়ের দুটো ফোন নম্বরই বন্ধ। অনেক খোঁজুখুজি করেও তিনি মেয়েকে না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। কমলেশ বিশ্বাসের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারি উপজেলার বড়বড়িয়া গ্রামে।
দিনে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের জেলা শহর থেকে একটি হিন্দু মেয়ে এভাবে নিখোঁজ হওয়ায় চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন। বিশেষ করে পুলিশের নিস্ক্রিয়তা হতবাক করেছে সবাইকে। সুবর্ণ বিশ্বাসকে উদ্ধার করতে পুলিশ কেনো এতো নিষ্ক্রিয় ? হলি টাইমসের অনুসন্ধানে যেটা প্রতীয়মান হয়েছে তা হলো গোপালগঞ্জ পুলিশ ধরেই নিয়েছে ওই হিন্দু মেয়েটি প্রেমিকের হাত ধরেই পালিয়েছে। উদ্ধার করার দায় পুলিশের নয়। কিন্তু তার পরিবার বলছে, সে যার হাত ধরেই পালাক অন্তত: কোথায় আছে , জীবিত না মৃত সেটা জানার অধিকার তাদের আছে এবং পুলিশ সেই খোঁজটা করতে পারে। পরিবার বলেছে, এমনওতো হতে পারে পুলিশের এই ধারণা ভুল। সত্যিকার অর্থে সুবর্ণ অপহৃত হয়েছে। এমনকি ধর্ষনের শিকার হতে পারে, তাকে খুন করা হতে পারে। তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আতঙ্কিত। এমন কিছু হলে তখন এর দায় কে নেবে ?
সূত্র #theholytimes
No comments:
Post a Comment