অমাবস্যার দিন ভুলেও কখনও নখ কাটতে নেই। তন্ত্রমতে, চুল এবং নখ হল শরীরের ‘নদী’-র অংশ। বলা হয় পূর্ণিমার দিন যেহেতু জীবনপ্রবাহ ‘উচ্চ’ পর্যায়ে থাকে, তাই মানুষের শরীরের মাথা এবং চুল সেদিন সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়। তাই পূর্ণিমার দিন চুল কাটতে নেই। আবার অমাবস্যার দিন যেহেতু জীবনপ্রবাহ ‘নিম্ন’ থাকে তাই ওই দিনগুলিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় হাত ও পায়ের নখ। তাছাড়া, সংস্কার অনুযায়ী অমাবস্যায় তান্ত্রিকরা অভিচার ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কাটা নখ ও চুল মারণ-উচাটনে ব্যবহৃত হয় বলে অনেকের বিশ্বাস।






অমাবস্যার দিন সন্ধার পরে বাড়ির প্রবেশ দ্বারে দুটি তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন। এর ফলে অশুভ শক্তির বাড়িতে প্রবেশ ঘটবেনা। পূর্ণিমার দিনের মতো অমাবস্যার দিনেও ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে হয়, বাসন পত্র ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হয়।






অমাবস্যার দিনে দূরে যাত্রা করলে তা অশুভ বলে মনে করা হয়। কোনো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এইদিন দূরে কোথাও যাত্রা না করাই ভাল। কোনও শুভকাজের সূচনার জন্য এইদিন ভাল নয় বলেই মনে করা হয়। অমাবস্যার দিন উপোস না করলেও এইদিন আমিষ খাবার বর্জন করা উচিত বলেই মনে করা হয়।






হিন্দু সংস্কার অনুযায়ী অমাবস্যায় গর্ভধারণ অশুভ। অমাবস্যা ছাড়াও পূর্ণিমা, চতুর্থী, ষষ্ঠী, অষ্টমী এবং চতুর্দশী তিথিতে গর্ভধারণ অশুভ বলে মনে করা হয়। অমাবস্যার রাতে স্বামী-স্ত্রীদের শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত নয়। পাশাপাশি এও মনে করা হয়, এই মিলনে যে সন্তান সৃষ্টি হয় তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন নাকি হতে হয়৷






অশ্বত্থ গাছের পূজা এসময়ে করলে নাকি তা মঙ্গলজনক৷ কিন্তু শনিবার ছাড়া অন্যদিন এই গাছ ছোঁয়াকে আবার অশুভ মনে করা হয়৷ তাই পূজা করতে হলেও স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে৷
No comments:
Post a Comment