গত ০৬/০৪/২০১৯ইং তারিখে নারায়নগঞ্জের নগর খাঁনপুরে নাবালিকা তৃষা রানী দাস (১৫), কে অপহরণ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগের বিবরনে নাবালিকা তৃষা রানী দাস (১৫), কে দুইবার অপহরন করা হয়।নাবালিকা তৃষা রানী দাসের অপহরনের ঘটনায় তার বাবা মধু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে নারায়নগঞ্জের সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রথমবার অপহরন করার পর তৃষা রানী দাস উদ্ধার হলেও পূনঃরায় দ্বিতীয় বার অপহরন হলে অভিযোগ দেয়ার তিনদিন পেড়িয়ে গেলেও ভিকটিম কে উদ্ধার করতে পারেনি থানা পুলিশ এবং আজ সন্ধ্যা পর পর্যন্ত খবর নিয়ে জানা গেছে এ বিষয়ে মামলাও রুজু হয়নি থানায়।ভিকটিমের বাবা মধু চন্দ্র দাস গত ১৪ই মে আরও অভিযোগ জানিয়েছেন নারায়নগঞ্জ জেলা প্রসশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর।
তার অভিযোগটি হুবুহু তুলে ধরা হল…..
বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ,
সদর মডেল থানা,নারায়নগঞ্জ। বিষয় ঃ অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে।
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিন্মে স্বাক্ষরকারী মধু চন্দ্র দাস (৪৩), পিতা-মৃত রাম মোহন দাস, সাং-৩৫/১পুকুরপাড়,নগর খাঁনপুর থানা ও জেলা-নারায়নগঞ্জ। আপনার থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি পেশায় একজন চাকুরীজীবী। আমার ০২(দুই) মেয়ে ০১(এক) ছেলে। আমার বড় মেয়ে নাবালিকা তৃষা রানী দাস (১৫), সে বিবি মরিয়ম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। সে গত ০৪/০৩/২০১৯ইং তারিখে অমার বাসা হতে অনুমান ৪.৩০ঘটিকায় নিখোঁজ হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমি নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাঃ ডাইরী করি যাহার নং-২৩৩-তাং-০৬/০৩/২০১৯ইং। ডাইরী করার পর প্রায় ১১ দিন পর বিশস্ত সূত্রে খবর পেয়ে গত ১৫/০৩/২০১৯ইং তারিখে আমার নাবালিকা মেয়ে তৃষা রানী দাসকে ভুরিঙ্গামারী হতে উদ্ধার করি,উদ্ধারের পর সে জানায় নিমোক্ত ১নং আসামী তাকে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলাইয়া জোড় পূর্বক অপহরন করে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং অন্যান্য আসামীরা তাতে সহযোগীতা করে বলে অমাদেরকে জানায়। তার পর আসামীরা একাধিকবার আমার বাড়িতে এসে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে যে এ বিষয়ে কোনরূপ মামলা মোকদ্দমাসহ থানা পুলিশকে জানাইলে তুকে ও তোর পরিবারকে দেশ ছাড়া করিব বলিয়া প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। আমি প্রানভয়ে কোনরূপ ব্যবস্থা নিতে পারিনাই। তারই ফলশ্রুতীতে পুনঃরায় আসামী ১। আকাশ মিয়া (২০), পিতা-মোঃ আজাদ মিয়া, সাং-হোসেন সর্দার রিক্সার গ্রেইজ সংলগ্ল, রেল লাইন, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ। ২। সাকিব মিয়া (২০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং- পশ্চিম তল্লা থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ। ৩। সেতু বেগম (২৩), পিতা-অজ্ঞাত, সাং- সর্দার পাড়া, নগর খাঁনপুর ,থানা ও জেলা-নারায়নগঞ্জ। ৪। মোঃ আজাদ মিয়া, পিতা-অজ্ঞাত, সাং-হোসেন সর্দার রিক্সার গ্রেইজ রেল লাইন সংলগ্ল, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ সহ অরো অজ্ঞাত নামা ২/৩জন গত ০৬/০৪/২০১৯ইং তারিখ বেলা আনুমানিক সকাল ১২ ঘটিকায় আমার মেয়ে তার নিজ প্রয়োজনে ঘর থেকে রাস্তায় বের হলে তাকে একটি সি এন জি তে জোড় পূর্বক তুলিয়া অপহরন করিয়া নিয়া যায়। নিয়ে যাওয়ার সময় আমি ও আমার স্ত্রী তার ডাক চিৎকারে ঘর থেকে বাহিরে আসলে তাদের সাথে থাকা মটর সাইকেল অরোহী অসামীরা আমাদের বাধাঁ দিয়ে দ্রুত চলে যায়। উপরোক্ত ঘটনার বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার বিবাদীগণের ভয়ে চরম আতংকে ও নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছি। বিবাদীগণ অত্যান্ত ধুরন্দর ও দুষ্টপ্রকৃতির হওয়ায় তারা কখন যে কি করিয়া ফেলে তাহা বলা যায় না। উক্ত ঘটনার বিষয়ে অত্র এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের জানাইয়া এবং আমার পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল।
অতএব মহোদয় সমীপে বিনীত প্রার্থনা এই যে, উপরোক্ত বিষয়টি দ্রুত তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমার মেয়ে তৃষা রানী দাস (নাবালিকা) (১৫) কে, দ্রুত উদ্ধার করতে ও আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহোদয়ের সুমর্জি হয়।
তারিখ : ১৪/০৫/২০১৯ইং
বিনীত,মধু চন্দ্র দাস, মোবাইল-০১৮১৪৯৫০৬০৯
উক্ত ঘটনায় বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম ও হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উক্ত ঘটনায় তীর্ব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দোষীদের অভিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃ্ষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই প্রশাসনের প্রতি।

No comments:
Post a Comment