মাগুরার সিদ্ধার্থ শংকর বদলে দিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস - Voice Of Sanatan
Vedic Video!Subscribe To Get Latest Vedic TipsClick Here

সাম্প্রতিক খবর

Voice Of Sanatan

সত্যের সন্ধানে অনুসন্ধান

Post Top Ad

মাগুরার সিদ্ধার্থ শংকর বদলে দিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস


Magura-1421928333

অবশেষে সিদ্ধার্থ শংকরের গ্যাস্ট্রোমিটারটি সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকারের ‘ডিপার্টমেন্ট অব প্যাটেন্টস, ডিজাইন-এর ট্রেডমার্ক’ দপ্তর থেকে তার আবিষ্কৃত ডিভাইসটির স্বীকৃতি দেওয়া হলো। সিদ্ধার্থের আবিষ্কৃত ডিভাইস বা যন্ত্রটি দিয়ে গ্যাস্ট্রিকে ভোগা রোগীদের পাকস্থলীতে কী পরিমাণ এসিডিটি আছে তা সহজেই পরিমাপ করা যায়।

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের রমেন বিশ্বাসের ছেলে সিদ্ধার্থ শংকর বিশ্বাস। ২০০৮ সালে তিনি গ্যাস্ট্রোমিটার নামের ডিভাইসটি আবিষ্কার করেন। সরকারের মিনিস্ট্রি অব ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর ‘ডিপার্টমেন্ট অব প্যাটেন্টস, ডিজাইন এর ট্রেডমার্ক’ দপ্তর তার আবিষ্কৃত ডিভাইসটি ১০০৫৪২২ নম্বর যুক্ত প্যাটেন্ট-(পিডাব্লিউ)/এপ্লিকেশন (ইস্যু)/৪২১৮, তারিখ-০২/১২/২০১৪ হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।

সিদ্ধার্থ শংকর জানান, তার আবিষ্কৃত ডিভাইসটির মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক রোগীদের গ্যাসের মাত্রা নিরূপণ করা সম্ভব সহজেই। গ্যাস্ট্রোমিটার থেকে তার দিয়ে যুক্ত একটি ধাতব পাত
রোগীদের জিহ্বার স্পর্শে আনার সঙ্গে সঙ্গে মিটারের ডিজিটাল মনিটরে গ্যাস্ট্রিকের মাত্রা দেখা যায়।

তিনি জানান, পাকস্থলীর অসুখের একটি বিশেষ পর্যায়ে গিয়ে এন্ডোসকপির মাধ্যমে তা নির্ণয়ের সুযোগ আছে। কিন্তু এ চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও গরিবদের নাগালের বাইরে। তাই গ্যাস্ট্রিকের প্রাথমিক চিকিৎসা হয় অনেকটা অনুমাননির্ভর।



সিদ্ধার্থ আরো জানান, তার যন্ত্রে গ্যাস পরিমাপের একক হচ্ছে ইলেক্ট্রন সাপোর্ট পয়েন্ট (ইএসপি)। তিনি গবেষণায় দেখেছেন, পাকস্থলীতে ইএসপির পরিমাণ নির্ধারণ করা না গেলে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়।

যেমন, কারো পাকস্থলীতে ইএসপির পরিমাণ ২৩-৩০.৯ পর্যন্ত থাকলে তা স্বাভাবিক হিসাবে ধরা যায়। এ জন্য ওষুধের দরকার নেই। ইএসপি যদি ২৩-এর নিচে থাকে সে ক্ষেত্রে তার এসিডিটি `অত্যন্ত কম` চিহ্নিত করে খাদ্য তালিকা পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিপাকে সহায়ক ওষুধ দিতে হবে। ইএসপি যদি ৩০.৯-এর বেশি থাকে তবে সেটা হবে মাত্রাতিরিক্ত এসিডিটি। এই পরিমাপক যন্ত্রটি ব্যবহার করে যে কোনো চিকিৎসক রোগির চিকিৎসা সঠিকভাবে দিতে সক্ষম হবেন।

সিদ্ধার্থ শংকর ১৯৯৩ সালে এসএসপি পাস করার পর পল্লী চিকিৎসার ওপর কলকাতায় দুই বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেন। এরপর দেশে ফিরে নিজ গ্রামে চিকিৎসা শুরু করেন। গ্রাম-গঞ্জে গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে এই চিকিৎসায় অনুমান নির্ভরতার বিষয়টি তার কাছে ধরা পড়ে। যা থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে নিজের গবেষণা থেকেই এটির আবিষ্কার বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, সিদ্ধার্থ শংকরের আবিষ্কৃত যন্ত্রটি গত বছরের ২৫ আগস্ট মাগুরা মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান মিলনায়তনে প্রথম জন সম্মুখে আনা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাগুরা সদর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডাক্তার এম এস আকবর তার আবিষ্কৃত যন্ত্রটি দেখে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।



অবশেষে ডিভাইসটি সরকারি স্বীকৃতি পাওয়ায় পল্লী চিকিৎসক সিদ্ধার্থ শংকরকে মাগুরা নিউজের সাধুবাদ ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

আপনার বিজ্ঞাপন দিন।