স্টাফ রির্পোটার ॥ হবিগঞ্জ শহরতলী রিচি ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের এক ব্যক্তির জায়গা জোরপূর্বক দখল করেছে একদল ভূমিদস্যু। এরা আরো জায়গা দখলের পায়তারা করছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করছে। এদিকে জায়গার মালিকরা নিরাপত্তার জন্য হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডি করেছেন। সূত্র জানায়, উত্তরকুল মৌজা, খতিয়ান নং-১৪৮, এস, এস দাগ-২০০২ ও ২০০৩ দাগের ১১৬ শতক জায়গার দলিল মূলে মুল মালিক নারায়নপুর গ্রামের কামিনী গোপ। কামিনী গোপ ১৯৬৩ সালে এক কবলা বলে উপরে উল্লেখিত দাগের জায়গা বিক্রয় করেন একই এলাকার জিতেন্দ্র গোপসহ ৫ জনের কাছে। পাকিস্তান আমলে ওই জায়গা রেজিস্ট্রি বন্ধ থাকায় আদালতে মামলা করেন জিতেন্দ্র গোপসহ ৫ জন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে মূল মালিক কামিনী গোপ আদালতে সুলেনামা দিলে আদালত জিতেন্দ্র গোপসহ ৫ জনকে ডিগ্রি সহকারে জায়গার দলিল সম্পাদন করে দেন।
অন্য দিকে একটি মহল কামিনী গোপের ভূয়া ওয়ারিশান সাজিয়ে জায়গা দখলে নেয়ার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে জায়গার প্রকৃত মালিকদের হয়রানী করে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে ভুমিদস্যূরা ১৯৯৫ সাল নারায়নপুর গ্রামের বজেন্দ্র গোপকে দিয়ে একটি স্বত্ব মামলা দায়ের করায়। উক্ত স্বত্ব মামলা নং ৯৫/৯৫। দীর্ঘ ২৩ বছরে মামলার শুনানি শেষে রায় প্রদান করেন আদালত। রায়ে জিতিন্দ্র গোপসহ ৫ জনকে মালিকানা প্রদান করে ডিগ্রি দেয়া হয়। এদিকে আবারও গত ১৮ এপ্রিলে হবিগঞ্জ এর অতিরিক্তি জেলা হাকিম আদালতে ১৪৪ ধারায়সহ আরো দুটি মামলা করা হয়। মামলা দায়ের করার পরই জুয়েল গোপের কিছু জায়গা বেড়া ও ঘর তুলে দখলে নিয়ে যায় এবং হুশিয়ারী করে দেন যে সম্পুর্ণ জায়গা তাদের দখলে। এ বিষয়টি জুয়েল গোপ তার সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে অবগত করেন। এর প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জুয়েল গোপের দখলকৃত জায়গা পরিদর্শন করেন হবিগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও জেলা পুজা উৎযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। জায়গা পরিদর্শণ শেষে দখলকৃত জায়গার মালিক জুয়েল গোপের বাড়ীতে এক সভায় বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ। সভায় জায়গা উদ্ধার করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি কামনা করেন। অন্যথায় মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তৃতা করেন হিন্দু বুদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি জগদীশ মোদক, সাধারণ সম্পাদক এডঃ স্বারজ বিশ্বাস, সাবেক সভাপতি এডঃ অহিন্দ্র দত্ত চৌধুরী, হীরেন্দ্র দত্ত, জেলা পুজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি নলীনি কান্ত রায় নিরু, সহ-সভপাতি অনুপ কুমার দেব মনা, সাধারণ সম্পাদক শংখ শুভ্র রায়, পিষুষ চক্রবর্র্তী, স্বপন লাল বনিক, মাখন পাল, এডঃ শ্যামল কান্তি রায়, এডঃ নারদ গোপ, বিপ্লব রায় সুজন, সদর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর অধিকারী, সাধারণ সম্পাদক অলক চন্দ্রসহ গ্রামের মুরুব্বিয়ান ব্যক্তিবর্গ।
No comments:
Post a Comment