হিন্দুধর্মে গো হত্যা নিষিদ্ধ নয়, পূর্বে
হিন্দুরা গো মাংস ভক্ষণ করত এসব কথা
গুলি বলে হিন্দুদের বিভ্রান্ত করতে
ব্যস্ত ধর্মান্ধরা ।আসুন আজ আমরা
জেনে নেয় হিন্দুধর্মে গো হত্যা
নিষিদ্ধ কেন ?
হিন্দু ধর্মালম্বীরা গরু হত্যা করে না
এবং গরুর মাংস খায় না। কিন্তু ভিন্ন
ধর্মালম্বীরা বলে তোমাদের বেদে
গোহত্যা নিয়ে কোন কথা নাই ....
চলুন তাহলে গোহত্যা এবং গরুর মাংস
আহার নিয়ে বেদ কি বলছে দেখি.…
1) গো হত্যা জঘন্যতম অপরাধ, ইহা মানুষ
হত্যার সমতুল্য। যারা এই রকম তারা
অবশ্যই শাস্তিযোগ্য(ঋগবেদ ৭।৫৬।১৭)
2) গো মাতাকে কোন কারণে, কোন
অবস্তাতে হত্যা করা যাবে না। তাকে
বিশুদ্ধ জল, শ্যামল ঘাস দিয়ে পালন
করবে যার মাধ্যমে তোমরা ধন সম্পদ ও
জ্ঞান লাভ করতে পারবে (ঋগবেদ ১।
১৬৪।১৪০, অথর্ববেদ ৩।৩০।০১)
3) গো হত্যা করো না এবং গরু হলো
অদিতি(যাকে টুকরো করে ভাগ করা
যাই না) ঋগবেদ ৮।১০১।১৫
4) গরু আমাদের সুস্বাস্ত্য ও উন্নতি
আনে (ঋগবেদ ১।১৬৪।২৭)
5) গরুর জন্য সুপেয় জলের ব্যবস্তা থাকা
উচিত(ঋগবেদ ৫।৮৩।৮)
তাছাড়া ঋগবেদের ১০।৮৭।১৬ এবং
অথর্ববেদের ১।৬৪।৪ তে মানুষ, ঘোড়া ও
গো মাংস আহারকারীদের কঠোর
শাস্তির কথা উল্লেখ আছে।ভগবান
শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন গো সেবক।আমাদের
উপাস্য গোবিন্দ,গন্তব্য গো লোক আর
তীর্থ গোমূখ নির্গত গঙ্গা।সব কিছূ গো
সংশ্লিষ্ট।সকল বৈদিক কর্ম পঞ্চগব্য
ছারা অকল্পনীয়।তাই গোমাতা
আমাদের শ্রদ্ধেয়া ।
6) প্রার্পায়াতু শ্রেষ্ঠতমায় কর্মন
আপ্যাযদ্ধম... অঘ্ন্যা যজমানস্য পশুন্
পাহি।
(যজুর্বেদ ১.১)
অনুবাদ-হে মনুষ্য প্রার্থনা কর যাতে
সবসময় তুমি মহত্ কার্যে নিজেকে
উত্সর্গ করতে পার,পশুসমূহ অঘ্ন্যা
অর্থাত্ হত্যার অযোগ্য,ওদের রক্ষা কর।
7) "পাষণ্ড তারা যারা প্রানীমাংস
ভোজন করে।তারা যেন প্রকারান্তরে
বিষ ই পান করে।" -ঋগ্বেদ ১০.৮৭.১৬
8) অনাগো হত্যা বৈ ভীমা কৃত্যে মা
নো গামশ্বং পুরুষং বধীঃ।
(অথর্ববেদ ১০.১.২৯)
অনুবাদ-নির্দোষদের হত্যা করা জঘন্যতম
অপরাধ।কখনো মানুষ,গো-অশ্বাদিদের
হত্যা করোনা।
9) Sooyavasaad bhagavatee hi bhooyaa atho
vayam bhagvantah syaama
Addhi trnamaghnye vishwadaaneem piba
shuddhamudakamaachar antee
(Rigveda 1.164.40 or Atharv 7.73.11 or
Atharv 9.10.)
The Aghnya cows – which are not to be
killed under any circumstances– may keep
themselves healthy by use of pure water and
green grass, so that we may be endowed
with virtues, knowledge and wealth.
বেদে আঘ্ন্যা . অহি , ও অদিতি হচ্ছে
গরুর সমপদ ।
আঘ্ন্যা মানে যাকে হত্যা করা
উচিত নয় । অহি মানে যার
গলা কাটা / জবাই করা উচিত নয় ।
অদিতি মানে যাকে টুকরো টুকরো করা
উচিত নয় ।
(Source: Yaska the commentator on
Nighantu)
এখানে স্পষ্ট বলা আছে, গো-হত্যা করা
সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বলবে, হত্যা করতে নিষেধ করেছে,
খেতে তো নিষেধ করে না !!!!!
যেখানে হত্যা করতেই নিষেধ করা
হয়েছে সেখানে ভক্ষণ করার প্রশ্নই
ওঠে না ।
এছাড়া আমরা জানি,
শ্রীমদ্ভগবদগীতায় কেবল গরু নয় আমিষ
খাবার গ্রহণই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যারা
আমিষ খাবার গ্রহণ করে তাদের
পিশাচের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ।
আমরা জানি, আমিষ খাবার শরীরের
জন্য যেটুকু উপকারী তার চেয়ে বহুগুণ
ক্ষতিকর । এছাড়া নিরামিষ খাবার
আমিষের চাহিদা
পূরণে সক্ষম । বর্তমানে শুধু হিন্দু নয়
অনেক বিধর্মীও কেবল নিরামিশ খাদ্য
গ্রহণ করে থাকে এবং এর হার দিন দিন
বেড়েই চলেছে ।
হিন্দুরা গো মাংস ভক্ষণ করত এসব কথা
গুলি বলে হিন্দুদের বিভ্রান্ত করতে
ব্যস্ত ধর্মান্ধরা ।আসুন আজ আমরা
জেনে নেয় হিন্দুধর্মে গো হত্যা
নিষিদ্ধ কেন ?
হিন্দু ধর্মালম্বীরা গরু হত্যা করে না
এবং গরুর মাংস খায় না। কিন্তু ভিন্ন
ধর্মালম্বীরা বলে তোমাদের বেদে
গোহত্যা নিয়ে কোন কথা নাই ....
চলুন তাহলে গোহত্যা এবং গরুর মাংস
আহার নিয়ে বেদ কি বলছে দেখি.…
1) গো হত্যা জঘন্যতম অপরাধ, ইহা মানুষ
হত্যার সমতুল্য। যারা এই রকম তারা
অবশ্যই শাস্তিযোগ্য(ঋগবেদ ৭।৫৬।১৭)
2) গো মাতাকে কোন কারণে, কোন
অবস্তাতে হত্যা করা যাবে না। তাকে
বিশুদ্ধ জল, শ্যামল ঘাস দিয়ে পালন
করবে যার মাধ্যমে তোমরা ধন সম্পদ ও
জ্ঞান লাভ করতে পারবে (ঋগবেদ ১।
১৬৪।১৪০, অথর্ববেদ ৩।৩০।০১)
3) গো হত্যা করো না এবং গরু হলো
অদিতি(যাকে টুকরো করে ভাগ করা
যাই না) ঋগবেদ ৮।১০১।১৫
4) গরু আমাদের সুস্বাস্ত্য ও উন্নতি
আনে (ঋগবেদ ১।১৬৪।২৭)
5) গরুর জন্য সুপেয় জলের ব্যবস্তা থাকা
উচিত(ঋগবেদ ৫।৮৩।৮)
তাছাড়া ঋগবেদের ১০।৮৭।১৬ এবং
অথর্ববেদের ১।৬৪।৪ তে মানুষ, ঘোড়া ও
গো মাংস আহারকারীদের কঠোর
শাস্তির কথা উল্লেখ আছে।ভগবান
শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন গো সেবক।আমাদের
উপাস্য গোবিন্দ,গন্তব্য গো লোক আর
তীর্থ গোমূখ নির্গত গঙ্গা।সব কিছূ গো
সংশ্লিষ্ট।সকল বৈদিক কর্ম পঞ্চগব্য
ছারা অকল্পনীয়।তাই গোমাতা
আমাদের শ্রদ্ধেয়া ।
6) প্রার্পায়াতু শ্রেষ্ঠতমায় কর্মন
আপ্যাযদ্ধম... অঘ্ন্যা যজমানস্য পশুন্
পাহি।
(যজুর্বেদ ১.১)
অনুবাদ-হে মনুষ্য প্রার্থনা কর যাতে
সবসময় তুমি মহত্ কার্যে নিজেকে
উত্সর্গ করতে পার,পশুসমূহ অঘ্ন্যা
অর্থাত্ হত্যার অযোগ্য,ওদের রক্ষা কর।
7) "পাষণ্ড তারা যারা প্রানীমাংস
ভোজন করে।তারা যেন প্রকারান্তরে
বিষ ই পান করে।" -ঋগ্বেদ ১০.৮৭.১৬
8) অনাগো হত্যা বৈ ভীমা কৃত্যে মা
নো গামশ্বং পুরুষং বধীঃ।
(অথর্ববেদ ১০.১.২৯)
অনুবাদ-নির্দোষদের হত্যা করা জঘন্যতম
অপরাধ।কখনো মানুষ,গো-অশ্বাদিদের
হত্যা করোনা।
9) Sooyavasaad bhagavatee hi bhooyaa atho
vayam bhagvantah syaama
Addhi trnamaghnye vishwadaaneem piba
shuddhamudakamaachar antee
(Rigveda 1.164.40 or Atharv 7.73.11 or
Atharv 9.10.)
The Aghnya cows – which are not to be
killed under any circumstances– may keep
themselves healthy by use of pure water and
green grass, so that we may be endowed
with virtues, knowledge and wealth.
বেদে আঘ্ন্যা . অহি , ও অদিতি হচ্ছে
গরুর সমপদ ।
আঘ্ন্যা মানে যাকে হত্যা করা
উচিত নয় । অহি মানে যার
গলা কাটা / জবাই করা উচিত নয় ।
অদিতি মানে যাকে টুকরো টুকরো করা
উচিত নয় ।
(Source: Yaska the commentator on
Nighantu)
এখানে স্পষ্ট বলা আছে, গো-হত্যা করা
সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বলবে, হত্যা করতে নিষেধ করেছে,
খেতে তো নিষেধ করে না !!!!!
যেখানে হত্যা করতেই নিষেধ করা
হয়েছে সেখানে ভক্ষণ করার প্রশ্নই
ওঠে না ।
এছাড়া আমরা জানি,
শ্রীমদ্ভগবদগীতায় কেবল গরু নয় আমিষ
খাবার গ্রহণই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যারা
আমিষ খাবার গ্রহণ করে তাদের
পিশাচের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ।
আমরা জানি, আমিষ খাবার শরীরের
জন্য যেটুকু উপকারী তার চেয়ে বহুগুণ
ক্ষতিকর । এছাড়া নিরামিষ খাবার
আমিষের চাহিদা
পূরণে সক্ষম । বর্তমানে শুধু হিন্দু নয়
অনেক বিধর্মীও কেবল নিরামিশ খাদ্য
গ্রহণ করে থাকে এবং এর হার দিন দিন
বেড়েই চলেছে ।
No comments:
Post a Comment