হিন্দু মেয়ে মৌমিতাকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করালো চেয়্যারম্যানের ছেলে! অতঃপর বিয়ে করলো...! - Voice Of Sanatan
Vedic Video!Subscribe To Get Latest Vedic TipsClick Here

সাম্প্রতিক খবর

Voice Of Sanatan

সত্যের সন্ধানে অনুসন্ধান

Post Top Ad

হিন্দু মেয়ে মৌমিতাকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করালো চেয়্যারম্যানের ছেলে! অতঃপর বিয়ে করলো...!

.
ছবি--মৌমিতা

চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলায় কেওড়া গ্রামে  মৌমিতা মিত্র বাস করে এক পরিবারে ৷  মৌমিতা থাকে মামার বাড়িতে ৷ ছোট বেলায় মৌমিতার বাবা মারা যাই৷  মৌমিতার বাবা  মারা যাওয়ার  পর  মৌমিতার  মায়ের  শশ্বুর শাশুরি মৌমিতার মাকে অত্যাচার শুরু করে তাদের ভিটা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য !  নিরুপায় মৌমিতার মা মৌমিতাকে নিয়ে  মামার বাড়ি চলে আসে৷ মৌমিতার কোনো ভাই বোন ছিলো  না৷ মৌমিতার মামার বাড়ি এসেও মৌমিতার মা শান্তি পাচ্ছিল না৷ মৌমিতার মামা ছিলো দুইজন৷ দুই মামা কিছুদিন খাওয়ানোর পর মৌমিতা ও মৌমিতার মাকে চলে যেতে বলেন তাদের বাড়ি থেকে৷  কারণ মৌমিতার মামারাও ছিলো খুব গরিব৷  অন্যের জমিতে চাষ করে কোনোমতে সংসার চালাতো৷    তাই মৌমিতার মা  মৌমিতাকে তার মামার বাড়ির দাদু দিদির কাছে রেখে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসেন৷

চট্টগ্রাম শহরে আসার পর তিনি গার্মেন্টেস এ শ্রমিক হিসেবে চাকরি নেন এবং গার্মেন্টস  এ কাজ শুরু করে দেন৷ এই চাকরি করে মৌমিতার মা আটহাজার টাকা বেতন পান৷ কিছু টাকা নিজে রেখে বাকি টাকাগুলো মৌমিতার পড়ালেখা ও মৌমিতার খাবার দাবারের জন্য পাটিয়ে দেন৷ মৌমিতার মা যখন চাকরিতে চলে যান তখন মৌমিতার বয় ছিলো পনেরো বছর৷দেখতে দেখতে দুই বছর কেটে যাই কোনো রুপ ঝামেলা ছাড়াই ৷মৌমিতার মাও মৌমিতার বিয়ের কথা ভাবছিলেন৷পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় বিয়ে টা ভালো পরিবারে দিতে পারছিলেন না ৷মৌমিতা একদিন তার এক বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যান৷  এই থেকেই  তার জীবনে  নেমে আসে এক অশান্তির ছায়া৷   মৌমিতা যেই গ্রামে তার বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যাই  সেই গ্রামে হঠাৎ দেখে ফেলে চ্যায়ারম্যানের ছেলে ৷তখন মৌমিতার বান্ধবী মৌমিতাকে দ্রুত ঘরে ফেরার জন্য বলে কারণ চ্যায়ারম্যানের ছেলের চোখ ভালো না৷সন্ত্রাসি করে ৷ওর নামে অনেক ধর্ষনের মামলাও আছে ৷উল্লেখ্য চ্যায়ারম্যানের ছেলের নাম আবদুল মতিন৷  মৌমিতা খুব দ্রুত ঘরের দিকে রওনা হয়৷ কিন্তু কিভাবে কিভাবে চ্যায়ারম্যানের ছেলে আবদুল মতিন মৌমিতার বাড়ির ঠিকানা পেয়ে গেলো৷ রাতে এসে মৌমিতার দাদু দিদিকে ডাকল আর মদ খেয়ে  খেয়ে বললো আমি তোমাদের নাতনি কে বিয়ে করতে চাই৷ ৷কাল মৌমিতাকে  বৌ সাজিয়ে রাখবে৷ এটা বলে চলে গেলো সে ৷ পরদিন  আবদুল মতিন এসে মৌমিতাকে সত্যি সত্যি বিয়ের প্রস্তাব দেই ৷ বিয়ের প্রস্তাবে মৌমিতার দাদু বলে বাবা তুমি মুসলিম আর আমাদের নাতিন হিন্দু ৷আমাদের জাত আলাদা৷ তাই মৌমিতার সাথে তোমার বিয়ে  হবে না বাবা৷ চলে যাও৷ এটা বলাই মৌমিতার দাদুকে অনেক মারধর করে চ্যায়ার ম্যানের ছেলে আবদুল মতিন৷এবং চলে যাই আর যাওয়ার সময় বলে৷ মৌমিতাকে  সে বিয়ে করবেই৷ মৌমিতার দাদু ও মৌমিতার মামা সাথে সাথে গিয়ে বিষয়টি চ্যায়ম্যান কে ও  থানায় জানা৷ কিন্তু থানাতে গিয়েও কোনো লাভ হয় নি৷কারন তারা থানাতে টাকা দিতে পারে ৷ ওদিকে চ্যায়্যারম্যানকে ও জানিয়ে কোনো লাভ হয় নি৷মৌমিতার মা ঘঠনাটি জেনে সন্ধ্যায় শহর থেকে চলে আসে ৷ এবং পরদিন মৌমিতাকে পরদিন শহরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷কিন্তু মৌমিতার ভাগ্যে তা ছিলো না৷ রাতে চ্যায়ারম্যানের ছেলে তার সন্ত্রাসি দলবল নিয়ে সবাইকে মারধর করে   মৌমিতাকে তুলে নিয়ে চলে যায় ৷এবং রাতের মধ্যেই মৌমিতাকে  ইসলাম ধর্ম গ্রহন করিয়ে বিয়ে করে ৷অতঃপর মৌমিতাকে জানোয়ারের মতো ধর্ষন করে৷ মৌমিতার প্রচুর রক্তক্ষরন হয় এতে৷ এই অবস্থায় মৌমিতাকে রেখে পালিয়ে যাই চ্যায়ারম্যানের ছেলে আবদুল মতিন৷ মৌমিতাকে সকালে খুজে পাই তার পরিবার ৷কিন্তু ততক্ষনে মৌমিতার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাই ৷ এবং হাসপাতালে মৌমিতার মৃত্যু হয় ৷প্রশাষন পুলিশের ওসি  ও সাতকানিয়া উপজেলার চ্যায়ারম্যানকে বরখাস্ত করেন৷ আবদুল মতিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে৷

আপডেট জানতে চোখ রাখুন আমাদের হিন্দু নিউজ সাইটে৷ আর ভিজিট করুন প্রতিদিন নিত্য নতুন খবর পেতে৷

সূত্র-হিন্দু নিউজ

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

আপনার বিজ্ঞাপন দিন।