ছবি--বাম পাশে লক্ষী ও ডান পাশে আবু তৈয়ব
লক্ষীর বয়স ১২ বছর৷তার বাসা চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট৷সে চতুর্থ শ্রেনিতে পড়ে৷তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ডে৷সে পলোগ্রাউন্ড স্কুলে পড়াশোনা করে৷তার মা গৃহিনী৷তার বাবা একজন সরকারি চাকুরি৷ তার বাবার পুরনো বন্ধু হচ্ছেন আবু তৈয়ব৷খুবই ভালো সম্পর্ক তাদের৷ আবু তৈয়ব লক্ষীদের বাসায় প্রায় সময়ই আসতেন৷ আবার লক্ষীর বাবা ও আবু তৈয়বদের বাসায় লক্ষীকে নিয়ে বেড়াতে যেতেন কয়েক ঘন্টার জন্য৷আবু তৈয়বকে লক্ষীর মা আগে থেকেই সন্দেহ করতেন বলে গণমাধ্যমকে জানায় লক্ষীর মা৷ আবু তৈয়বের চোখ নাকি খুব খারাপ৷ সে লক্ষীর মায়ের দিকে খারাপ চোখে তাকান ৷প্রায়ই সময় এই কথা বলতেন লক্ষীর মা লক্ষীর বাবাকে৷কিন্তু লক্ষীর বাবা বন্ধু বলে আবু তৈয়বকে তাদের বাসায় আসতে নিষেধ করতে পারছিলো না৷
একদিন লক্ষীর বাবা চাকরীতে চলে যায় সকাল বেলা ৷ সেদিন লক্ষী স্কুলে যাই নি৷ সেদিন সকালে আবু তৈয়ব আসেন লক্ষীদের ঘরে৷ লক্ষীদের ঘরে কড়া নাড়লে লক্ষী দরজা খুলে দেয়৷আবু তৈয়ব শোফায় এসে বসেন৷লক্ষীর মা রান্না ঘরে রান্না নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন৷৷ আবু তৈয়ব যে তাদের ঘরে এসেছে সেটি তিনি জানতেন না৷ অবু তৈয়ব লক্ষীকে ডেকে তার জামা খোলার চেষ্টা করছিলো এবং তার যৌনাঙ্গে হাত দিচ্ছিল ৷তখন সে চিৎকার করে তার মাকে ডাকে৷ তার মাকে কেঁদে কেঁদে সব বলে দেয়৷তখন আবু তৈয়ব দোষ এড়ানোর অনেক চেষ্টা করেন৷ লক্ষীর মা লক্ষীর বাবাকে ফোন দিয়ে সব বলে দেন৷তখন লক্ষীর বাবা আবু তৈয়বকে জুতা দিয়ে মেরে বের করে দিতে বলেন৷তাই লক্ষীর মা আবু তৈয়ব কে জুতা দিয়ে মেরে বের করে দিলেন৷
ঘঠনা থেমে থাকে নি এখানে৷ ৷ আবু তৈয়ব প্রতিশোধের সুযোগে থাকে৷একদিন আবু তৈয়ব লক্ষীকে স্কুল থেকে তুলে বাসায় নিয়ে আসে৷লক্ষী অনেক চিৎকার করে৷সবাই মনে করছিলো লক্ষী অভিমান করে কাঁদছিলো৷ বাসায় এনে লক্ষীকে ৪ বার ধর্ষন করলো আবু তৈয়ব৷রাতে আবার ধর্ষন করবে বলে লক্ষীকে ছেড়ে দেয় নি আবু তৈয়ব৷উল্লেখ্য আবু তৈয়বের বৌ সন্তানদের আবু তৈয়ব চালাকি করে বাপের বাড়ি পাটিয়ে দেন৷ অনেক খোজাখুজির পর রাতে পুলিশ চলে এলো আবু তৈয়বের ঘরে৷ এবং তাকে গ্রেফতার করলো৷এবং লক্ষীকে উদ্ধার করলো৷আবু তৈয়বের একটি মেয়ে রয়েছে বয়স ১৬ বছর৺৷আবু তৈয়বের পরিবার লক্ষীকে দেখতে আসে সেদিন মেডিকেলে৷৷ তাহমিনা বলে আবু তৈয়বকে তার বাবা বলতে ঘৃণা করছে৷সে একটা পশুর বাচ্চা৷লক্ষী এখন চট্টগ্রাম মেডিকেলে আছে৷তার অবস্থা খুবই খারাপ৷প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে
তার৷চিকিৎসকরা এখনো নিশ্চিত নয় লক্ষী বাঁঁচবে কিনা৷সবাই লক্ষীকে নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছে৷এদিকে আবু তৈয়ব পুলিশদের ৫ লক্ষ ঘোষ দিয়ে পুলিশদের কাছ থেকে৷ পালিয়ে যান৷তারপর তার বৌকে ফোন করে বলেন সে ঢাকা আছে৷এই কথাটি তার মেয়ে তাহমিনা জেনে যাই ৷সে এসে বিষয়টি লক্ষীর বাবাকে বলে দেয় ৷পুলিশের ঘোষ নেওয়ার বিষয়টিও বলে দেয়৷
তখন লক্ষীর বাবা বিষয়টি অন্য আরেক থানায় জানায়৷বিষয়টি পুলিশ কমিশনারের কানে যাই৷তিনি সত্যতার প্রমান পেয়ে ৩জন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেন৷এবং আবু তৈয়বকে ধরার জন্য ঢাকার মিরপুরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গঠন করা হয়৷মিরপুর এর এক আত্নীয় বাসা থেকে আজ সকালে আবু তৈয়বকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ৷ আবু তৈয়ব এর বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি দাবি জানায় লক্ষী বাবা মা ও আত্নীয় স্বজনেরা৷এখন পর্যন্ত এতটুকু৷
পরবর্তী আপডেট খবর পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের নাম মনে রাখুনবা কপি করে রাখুন৷গুগলে সার্চ করে আমাদের সাইট থেকে হিন্দু নিউজ পড়ুন৷
সূত্র--হিন্দু নিউজ
No comments:
Post a Comment