ব্রিটেনে ‘বার এট ল’ ডিগ্রী অর্জন করেছেন মৌলভীবাজারের মেয়ে সালেহা
সুলতানা। ব্রিটেনে বিদেশী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে
নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা। বর্তমান ব্রিটেনের বিভিন্ন
ক্ষেত্রে অধ্যয়নরত বিদেশী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশী
শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির লন্ডনের ‘লিনকনস ইন’ এ কৃতিত্বের
সাথে ‘বার এট ল’ ডিগ্রী অর্জন করেছেন মৌলভীবাজারের মেয়ে বাংলাদেশী ব্রিটিশ
শিক্ষার্থী সালেহা সুলতানা।
তিনি গত পহেলা ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার
লিনকনস ইন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বার এট ল’ ডিগ্রী পাসের সনদপত্র গ্রহণ
করেছেন। ইতিপূর্বে তিনি এলএলবি, এলএলএম ও এলপিসি ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।
অনুষ্ঠানে লিনকনস ইন কিং কাউন্সিল ট্রেজারার জনাথন ক্রো তার হাতে ‘বার এট
ল’ ডিগ্রী পাসের সনদপত্র তুলে দেন। সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের
মধ্যে সালেহা সুলতানার মাতা ফারহানা বেগম চৌধুরী ও দাদী মোছাঃ ময়মনা খাতুন
উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটেন প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবী, শিক্ষানুরাগী,
ব্রিটেন ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজনগর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস
গ্রুপ ইউকে, এমবিএম বিজনেস গ্রুপ বিডি ও ড. মৌলা ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান,
ইউকে-বাংলাদেশ ক্যাটালিস্ট অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী (ইউকে-বিসিসিআই) ও
মৌলভীবাজার জেলা জনসেবা সংস্থা মিডল্যান্ডস-ইউকে’র প্রেসিডেন্ট এবং
মৌলভীবাজার থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সুরমার ঢেউ (website:
www.surmardhau.com) পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. এম জি মৌলা
মিয়া এবং ফারহানা বেগম চৌধুরী’র কন্যা ও জুনেদ হোসেনের স্ত্রী সালেহা
সুলতানা বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলাধীন রাজনগর উপজেলার
পাঁচগাঁও ইউনিয়নস্থিত বাহাদুরগঞ্জ গ্রামের মেয়ে। তার স্বামী ব্রিটেন
প্রবাসী জুনেদ হোসেনও এলএলবি, এলএলএম ও এলপিসি ডিগ্রী সম্পন্ন করে বর্তমানে
সলিসিটর পেশায় নিয়োজিত।
ড. এম জি মৌলা মিয়া ও মিসেস ফারহানা বেগম
চৌধুরী’র ২ কন্যা ও ২ পুত্রের মধ্যে কন্যা সালেহা সুলতানা সবার বড় সন্তান।
দ্বিতীয় সন্তান কন্যা ফাবিহা সুলতানা ফ্যাশন ও টেক্সটাইলসে ব্যাচেলর ও
মাস্টার্স সম্পন্ন করে ক্লোথিন ব্র্যান্ডের ডাইরেক্টর হিসেবে নিয়োজিত
রয়েছেন। তৃতীয় সন্তান পুত্র তাওসিফুর রহমান বিএ (অনার্স), পিপিই এবং
ইনভেস্টমেন্টে এমএসসি সম্পন্ন করে কেপিএমজি চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট
প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। চতুর্থ সন্তান পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান এস্টন
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। দাদী ময়মনা খাতুনসহ পরিবারের
সবাই ড. এম জি মৌলা মিয়া ও ফারহানা বেগম চৌধুরীর সন্তানদের জন্য সকলের
দোয়া/আশীর্বাদ কামনা করেছেন। ড. এমজি মৌলা মিয়া তার চার সন্তানকে
উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পেরে মহান আল্লাহর তায়ালার প্রতি শুকরিয়া আদায়
করছেন এবং নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন সন্তানদের এ সাফল্যে।
No comments:
Post a Comment