বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সান্তাহার স্টেডিয়াম বন্ধ ১৪ বছরের বেশী সময় ধরে, খেলতে না পারায় মোবাইল গেম ও নেশায় আশক্ত হচ্ছে উঠতি বয়সের কিশোররা যে গ্যালারীতে বসে খেলা উপভোগ করার কথা দর্শকের,আর সে গ্যালারীতেই দর্শকের আসনের সামনে বিচরন করছে ওই এলাকার গবাদী পশুর দল। শুধু দর্শক গ্যালারী নয় মাঠের চতুর পার্শে চোখ মেললেই মনে হবে বন জঙ্গলে ঘেরা গো চারনের মাঠ। অথচ এই মাঠেই অনুষ্টিত হয়েছে উত্তরাঞ্চলের সাড়া জাগানো বড় বড় ফুটবল টুর্নামেন্ট ।
সেখানে অংশ নিয়েছেন জাতীয় দলের ও বিদেশী ফুটবলাররা। ১৪ বছরেরও বেশী সময় ধরে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে মাঠটি । ফলে খেলোয়াড়রা মাঠে না গিয়ে ঝুকেছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গেম খেলা সহ নেশার আশক্তিতে। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ৪২ কিলোমিটার দুরে নির্মান করা হয়েছে সান্তাহার ফুটবল ষ্টেডিয়ামটি। ১৫ হাজার ধারন ক্ষমতা সম্পুর্ন স্টেডিয়ামটি বিশিষ্ট বিপুল অর্থে নির্মিত ১৯৯৭ সালের ১৮ই আগষ্ট এর উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন যুব ও ক্রিড়া এবং সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। উদ্বোধনের পর নিয়মিত ফুটবলসহ নানা টুর্নামেন্ট হলেও ১৪ বছর আগে একটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার প্রধান অতিথি নিয়ে ২ পক্ষের বিবাদে সমাপ্ত হতে পারেনি সেই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা।
সেই থেকেই তালা ঝুলিয়ে বন্ধ রাখা হয়ে মাঠটি। সেই থেকেই নজর পড়েনি জেলা প্রশাসন বা স্থানীয় উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার কর্তাদের। উপরোন্ত সঠিক পরিচর্যা ও সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে স্টেডিয়ামের সকল স্থাপনাও। স্থানীয়দের অভিযোগ, আদমদিঘী উপজেলা ক্রিড়া সংস্থা ও সান্তাহার পৌর ক্রিড়া সংস্থার রশি টানাটানিতেই স্টেডিয়ামটির এমন বেহাল দশা। আর আদমদিঘী উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক মাঠটি পৌর ক্রিড়া সংস্থাকে দিতে চাইলেও উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত সাবেক উপজেলা নিবাহী কর্মকতার অসহযোগিতার কারনেই এমনটি হয়নি বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে জাতীয় ক্রিড়া পরিষদের নির্দেশ সত্ত্বেও মাঠটি পৌর ক্রিড়া সংস্থাকে বুঝিয়ে না দেয়ায় তারাও মাঠের দখল নিতে পারছেন না বলে জানান পৌর ক্রিড়া সংস্থার সভাপতি সান্তাহার পৌরসভার মেয়র। স্টেডিয়ামের কেয়ার টেকার আবু সসাইদ জানালেন, নিয়োগ দেয়ার নামে তাকে সেখানে রাখা হলেও ২৩ বছরেও তাকে কোন বেতন ভাতা না দিয়ে স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ বিলের ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করেছেন আদমদিঘীর সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এদিকে জেলা ক্রিড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক কি কারনে স্টেডিয়ামটি বন্ধ হয়ে আছে, সেটা ক্ষতিয়ে দেখার কথা জানান।
কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের অবহেলায় বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা মাঠটি দ্রুত সংস্কার করে খেলাধুলার পরিবেশ তৈরি করার জোর দাবী ক্রিড়াবিদ, সংগঠক ও স্থানীয়দের
No comments:
Post a Comment