প্রকাশ দে,সাতক্ষীরায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগে জেলা যুবলীগের আহবায়ক মান্নানসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার
(৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরতলীর বাঁকাল খেয়াঘাট জেলেপাড়ায় হিন্দু
সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও চারজনকে পিটিয়ে জখম করা
হয়েছে। বাঁকাল জেলেপাড়ার নিরঞ্জন মাখাল বাদি হয়ে শনিবার (০১ আগস্ট)
সাতক্ষীরা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার
অন্য আসামীরা হলেন, কাটিয়ার মুজিবর রহমান, তার ছেলে সৌরভ, বাঁকাল
জেলেপাড়ার রমিজ ড্রাইভার ও তার ছেলে আলমগীর হোসেন।ঘটনার বিবরণে জানা যায়,
কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই শহরের দক্ষিণ কাটিয়ার সানাউল্লাহ গাজীর ছেলে
মুজিবর পেশকার পুলিন মাখালের কাছ থেকে ১৫ শতক জমি পাঁচ লাখ টাকায় মৌখিকভাবে
কিনেছেন দাবি করে তার ছেলে শুভ ,স্থানীয় রমিজ ড্রাইভার, তার ছেলে আলমগীর
হোসেনসহ কয়েকজন চলতি বছরের ৮ জুলাই রাতে তাদের পাড়ায় এসে রাতের মধ্যে
হিন্দুদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। তা না হলে যুবলীগ নেতা
মান্নানের সহায়তায় তাদেরকে দেশছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ৯
জুলাই সকালে ওইসব হুমকিদাতাসহ কয়েকজন সুকুমার বিশ্বাসসহ কয়েকজনের বাড়িতে
হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। বাধা দেওয়ায় জয়দেব মাখাল, সহাদেব মাখাল,
বিশ্বজিৎ মাখাল, শ্যামলী বিশ্বাস ও সরজিত কাজীকে পিটিয়ে জখম করে। তাদেরকে
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিরঞ্জন
মাখাল জানান, যুবলীগ নেতা মান্নানের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন গত বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যার পর তার বাড়ি ও পূর্ণিমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো
হয়। ভাঙচুর ও লুটপাটে বাধা দেওয়ায় তাকে, তার স্ত্রী অহল্যা, সহদেব মাখাল ও
বলরাম মাখালকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতে হামলা, ভাঙচুর ও
লুটপাটের পর তারা ঝাঁটা মিছিল নিয়ে সড়ক অবরোধ করলে মুজিবর ও তার ছেলেকে
পুলিশ আটক করলেও পরবর্তীতে ছেড়ে দিয়ে শুক্রবার সকালে থানায় আলোচনায় বসার
কথা বলেন। শুক্রবার হামলাকারীরা থানায় হাজির হয়নি।
বৃহস্পতিবার
(৩০ জুলাই) রাতে তিনি বাদি হয়ে যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নানসহ পাঁচজনের নাম
ও অজ্ঞাতনামা ১৬ জনকে আসামী করে এজাহার দিলে ১ আগস্ট পুলিশ মামলা (২নং)
রেকর্ড করে।
সাতক্ষীরা
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজজামান যুবলীগ নেতা মান্নানসহ
পাঁচজনের বিরুদ্ধে পহেলা আগস্ট মামলা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
No comments:
Post a Comment