• ঘূর্ণিঝড় ফণির তাণ্ডবের পর এখনও ক্ষয়ক্ষতি সামলে উঠতে পারেনি পুরী ৷ তবু উৎসবের দিনে বিষয়টা একটু হলেও আলাদা ৷ আর কয়েকদিন পরেই এখানকার শ্রেষ্ঠ উৎসব রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে ৷ তার আগে আজই জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা ৷
বলা হয়, এই তিথিতেই মর্ত্যে আবির্ভাব হয়েছিল দেবের ৷ জ্যৈষ্ঠমাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্বয়ম্ভু মনুর যজ্ঞের প্রভাবে প্রভু জগন্নাথ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই এই তিথিকে জগন্নাথদেবের জন্মদিন হিসাবে পালন করার নির্দেশ দেন স্বয়ং মনুই। সেই জন্মদিন উপলক্ষ্যেই এই বিশেষ স্নান উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
• বর্তমান বছর, অর্থাৎ ১৪২৬ সনের স্নানযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২ আষাঢ়, ১৪২৬ এবং গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে ১ আষাঢ়, ১৪২৬, রবিবার, ইংরেজি ১৭ জুন ২০১৯।

• বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে আগামিকাল মহাপ্রভুর মহাস্নান। সেই উৎসবকে কেন্দ্র করে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। প্রতি বছর দেবস্নান পূর্ণিমায় এই রীতি পালিত হয়। মহাস্নানের আগে অবধি রত্নবেদীতেই থাকেন জগন্নাথ।
• প্রথমে জগন্নাথ, তারপর বলরাম, শেষে শুভদ্রাকে পুষ্পাঞ্জলী দেন মন্দিরের সেবায়েতরা। তারপর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় স্নানবেদীতে। সেখানে মঙ্গল আরতী ও সূর্যপুজোর পর তিনজনকে মহাস্নানের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মন্দিরের দক্ষিণের দরজায় রয়েছে কুয়ো। সেই কুয়ো থেকে তোলা হবে একশো আট ঘটি জল। সেই জলেই স্নান করবেন জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রা।

স্নানের পর জগন্নাথ ও বলরামের হাতিবেশ বা গণেশবেশ হয়ে থাকে। স্বয়ং জগন্নাথদেব মহারাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মহাস্নানের পর তাঁর অঙ্গরাগবিহীন রূপ যেন কেউ না দেখেন। তাই স্নানযাত্রার পর থেকে ১৫ দিন পুরীর মন্দিরের দরজা সাধারণের জন্য বন্ধ থাকে।
No comments:
Post a Comment