
স্বপন কর্মকার লামা প্রতিনিধি, সনাতনধর্মে ধর্মে বিবাহ শুধু একটি পুরুষ ও মহিলার চুক্তি নয় একটি পরিবারের সাথে আরেকটি পরিবারের আত্মার আত্মিক বন্ধন ৷ প্রাচীনকালে প্রসূতি মা ও শিশু মৃত্যুর হার ছিল অনেক বেশী ৷ তাই , সন্তানের মঙ্গল কামনায় মায়ের অনেক গুলি ষষ্ঠী পুজো ও ব্রত পালন করতেন,তার মধ্য মূলা ষষ্ঠী, অশোকা ষষ্ঠী, লুন্ঠন ষষ্ঠী, পাটাই ষষ্ঠী, দুর্গা ষষ্ঠী অন্যতম।জামাই পুত্র তুল্য ( Son in law) ,তাই মধুমাস জ্যৈষ্ঠের শুক্লা ষষ্ঠীতে শাশুড়িরা উপবাসে থেকে জামাইয়ের হিত কামনায় অশ্বথততলা বা ষষ্ঠী মন্দিরে পুজো দিয়ে ধান - দূর্বা দিয়ে আর্শীবাদ করেন ৷ "ধান" সম্পদ ও বহু সন্তানের এবং দূর্বা অমরত্ব ও চির যৌবনের প্রতীক ৷ আজ জামাইষষ্ঠী ফুল দূর্বা তেল সিঁদুর ধানের চেয়ে অবশ্য এই ষষ্ঠীতে বড় হয় "জামাইয়ের পেট পুজো " ! জামাইয়ের সাথে নাতি নাতনিরাও পেট পুরে খেয়ে মামার বাড়ীর সবার সাথে আনন্দ করে ৷ জামাই ষষ্ঠী বা অরণ্যষষ্ঠী পিতা-মাতাকে কন্যা ও জামাতাকে দেখার সুযোগ করে দেয় ৷ষষ্ঠী তলায় মেয়েরা একে অপরের কল্যাণ কামনার সঙ্গে ছেলে বেলার বান্ধবী ও তাদের বরেদের নিয়ে মেতে ওঠে হুল্লোড়ে৷ আসলে জামাই ষষ্ঠী যতটা না ধর্মীয় বা শাস্ত্রীয় তার চেয়ে অনেক বেশী বাঙালি জীবনের অন্তরের তথা হৃদয়ের বন্ধন ৷ সকল বাঙালি জামাইবাবুদের জন্য শুভকামনা রইল। সবশেষে মা ষষ্ঠীদেবীর চরণে রইল শতকোটি প্রণাম, " জয় দেবী জগন্মাতা জগদানন্দকারিণী প্রসীদ মম কল্যাণী ষষ্ঠী দেবী নমোহস্তুতে।৷"
No comments:
Post a Comment