বেদের সংক্ষিপ্ত ও সাধারণ পরিচয়---
বেদ হিন্দুদের আদি এবং প্রধান ধর্মগ্রন্থ ৷ বেদ শব্দের অর্থ জ্ঞান ৷ জ্ঞান পবিত্র বিচিত্র ও সুন্দর ৷ এ জ্ঞান স্রষ্ঠা ও প্রকৃতি সম্পর্কিত জ্ঞান৷ জ্ঞানের কি শেষ আছে? জ্ঞান কি চেষ্টা ছাড়া পাওয়া যাই? তার জন্যচেষ্টা করতে হয় আর সাধনা করতে হয় ৷ গভীর চিন্তায় ডুবে যাওয়া বা নিমগ্ন হওয়াকে বলা ধ্যান৷ ধ্যানে সত্যকে উপলগ্ধি করা যাই৷ সত্য চিরন্তন ও সনাতণ৷ এ সত্য সৃষ্টি করা যাই না৷ এ সত্য গভীর ধ্যানের আলোকে দর্শন করা যায় উপলগ্ধি করা যাই৷ প্রাচীনকালে যারা সত্য বা জ্ঞান এবং স্রষ্ঠার মাহাত্ন্য দর্শন বা উপলগ্ধি করতে পারতেন তাদের বলা হতো রিষি ৷ ধ্যানের মাধ্যমে তারা সেই সত্য দর্শন করে তাকে ভাবের আবেগে প্রকাশ করেছেন৷ এ জন্য বলা হয় বেদ সৃষ্ট নয় বেদ হলো দৃষ্ট ৷ অথ্যাৎ বেদ কেউ সৃষ্টি করে নি উপলগ্ধি করেছে মাত্র৷ বেদে বহু দেবদেবীর বর্ণনা পাওয়া যাই৷ যেমন -অগ্নি সূর্য ইন্দ্র বিষ্ণু বায়ু বরুণ রুদ্র যম ঊষা বাক্ রাত্রি সরস্বতী ইত্যাদি৷ তবে বেদে বলা হয়েছে একই পরমাত্না থেকে সকল দেব দেবীর উদ্ভব৷ প্রত্যেকের গুণ ও শক্তি ভেদে তারা ভিন্ন ভিন্ন দেব দেবী রুপে প্রকাশিত ৷ র্হ্রিষি গণ এই দেব দেবীর মাহাত্ন্য তুলে ধরেন৷ তাদের স্তুতি বা প্রশংসা করেছেন৷ এবং অসাধারণ শক্তি ও প্রভাবসম্পন্ন দেবদেবীর কাছে ধন সম্পদ সুখ ও শান্তি প্রার্থনা করেছেন৷ বেদের দেবতিদের তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে..
১--স্বর্গের দেবতা
২-অন্তরিক্ষের দেবতা
৩-মর্ত্যের দেবতা
স্বগের দেবতা--এদের ক্ষমতাই শুধু বোঝা যাই ৷ এরা পৃথিবীতে নেমে আসেন না৷ যেমন সূর্য বরুণ যম প্রভৃতি
অন্তরিক্ষের দেবতা--এদের ক্ষমতা বোঝাও যাই আবার দেখাও যাই ৷ এরা মর্ত্যে নেমে আসেন কিন্তু অবস্থান করেন না৷ যেমন ইন্দ্র বায়ু৷ ইত্যাদি
মর্ত্যের দেবতা--যে সকল দেবতা মর্ত্যে বা পৃথিবীতে আসেন এবং অবস্থান করেন তাদের বলা হয় মর্ত্যের দেবতা ৷ অগ্নিকে আমরা পৃথিবীতে দেখতে পাই৷ তাই তার কাছে ভালো কিছু উৎসর্গ করে ৷ তারই মাধ্যমে অন্যান্য দেবতাদের নিকট প্রার্থনা জানাতে হয় ৷ এভাবে আগুন জ্বেলে বেদের মন্ত্র উচ্চারণ করে দেবতাদের আহ্বান জানানো এবং এই প্রার্থনা করাকে যজ্ঞ বলে৷ বেদের ছন্দোবদ্ধ বাক্যকে বলা হয় মন্ত্র ৷হ্র্রিষিরা বেদ থেকে মন্ত্র উচ্চারণ করে ধর্ম অনুষ্ঠান বা উপাসনা করেছেন ৷বৈদিক উপাসনা পদ্ধতি ছিল যজ্ঞ বা হোম করা৷ এছাড়া বেদের বাক্য সুর দিয়ে যজ্ঞের সময় গান করা হয়৷ বেদে রয়েছে এইরকম কিছু গিন ৷এই গানকে বলা হতো সাম৷ জীবনের অন্যান্য বিচিত্রের জ্ঞানের কথাও বেদে রয়েছে৷
বেদের শ্রেণিবিভাগ---বিষয়বস্তু ও রচনা রীতির পার্থক্য সামনে রেখে বেদের শ্রেণিবিভাগ করেছেন মর্হষি কৃষ্ণদৈপায়ণ ৷ বেদকে তিনি বিভক্ত করেছেন বলে তাকে বলা হয় বেদব্যাস ৷ বেদকে চার ভাগে ভাগ করা যাই ১-হ্রগ্বেদ, সামবেদ, যর্জুবেদ ও অর্থব বেদ৷
হ্রগ্বেদ-- এই অংশে রয়েছে স্তুতি ও প্রার্থনা মূলক মন্ত্রস্তুতি মানে প্রশংসা আর প্রার্থনা মানে কোনো কিছু চাওয়া৷
সামবেদ--সাম মানে গান৷ যজ্ঞ করার সময় মন্ত্র গুলো সুরে সুরে গাওয়া হয় ৷তাই এই বেদের নাম সামবেদ
যর্জুবেদ--- যজু মানে যজ্ঞ ৷ যর্জুবেদে এমন কিছু মন্ত্র রয়েছে যা যজ্ঞ করার সময় উচ্চারণ করা হয়৷
অর্থববেদ--চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিষয়ে এই বেদ
(সংক্ষেপিত)
No comments:
Post a Comment